বনধ সমর্থন করলেও রায়গঞ্জে দেখা গেল না কংগ্রেসকে, জোটসঙ্গীকে না পেয়ে হতাশ বামেরা
সিপিএম তথা বামফন্টের ডাকা ১২ ঘন্টার বাংলা বনধে সমর্থন করলেও রায়গঞ্জ পথে নামতে দেখা গেল না নির্বাচনের জোটসঙ্গী কংগ্রেসকে। বনধের সমর্থনে সিপিএম শুক্রবার সকাল থেকেই রায়গঞ্জ শহরে মিছিল, জাতীয় সড়ক অবরোধ, রেলরোকো আন্দোলন সংগঠিত করলেও দেখা মেলেনি কোনও কংগ্রেস নেতা কর্মীর। এই আন্দোলনে জেলা কংগ্রেসকে পাবেন বলে আশা করেছিলেন জেলা সিপিএম নেতৃত্ব। কিন্তু কেন তাঁরা এলেন না, উত্তর নেই সিপিআইএম-এর উত্তর দিনাজপুর জেলা সম্পাদক অপূর্ব পালের কাছেও।
Asianet News Bangla | Published : Feb 12, 2021 10:48 AM IST / Updated: Feb 12 2021, 04:21 PM IST
সিপিএম তথা বামফন্টের ডাকা ১২ ঘন্টার বাংলা বনধে সমর্থন করলেও রায়গঞ্জ পথে নামতে দেখা গেল না নির্বাচনের জোটসঙ্গী কংগ্রেসকে। বনধের সমর্থনে সিপিএম শুক্রবার সকাল থেকেই রায়গঞ্জ শহরে মিছিল, জাতীয় সড়ক অবরোধ, রেলরোকো আন্দোলন সংগঠিত করলেও দেখা মেলেনি কোনও কংগ্রেস নেতা কর্মীর।
আজকের এই আন্দোলনে জেলা কংগ্রেসকে পাবেন বলে আশা করেছিলেন জেলা সিপিএম নেতৃত্ব কিন্তু কেন তাঁরা এলেননা তা জানেন না বলে জানিয়েছেন সিপিআইএম এর উত্তর দিনাজপুর জেলা সম্পাদক অপূর্ব পাল।
যদিও জেলা কংগ্রেস নেতৃত্ব জানিয়েছে এই বনধে তাদের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। রাজ্য থেকে খবর রাতে আসায় সেভাবে সংগঠিত করে পথে নামা হয়নি, তবে ব্যক্তিগতভাবে তিনি পথে নেমেছিলেন বলে জানিয়েছেন উত্তর দিনাজপুর জেলা কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি পবিত্র চন্দ।
নবান্ন অভিযানে বামপন্থী ছাত্র-যুব সংগঠনের উপর পুলিশি হামলার প্রতিবাদে শুক্রবার ১২ ঘন্টার বাংলা বনধের ডাক দিয়েছে রাজ্য বামফ্রন্ট। বামফ্রন্টের ডাকা এই বাংলা বনধকে সমর্থন জানিয়েছে নির্বাচনী জোটসঙ্গী প্রদেশ কংগ্রেসও।
বনধের সমর্থনে সিপিএম তথা বামফ্রন্ট পথে নামলেও রায়গঞ্জে পথে নামতে দেখা যায়নি উত্তর দিনাজপুর জেলা কংগ্রসের কোনও নেতা কর্মীকে। রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনে আসনের প্রার্থী ঘোষনা না হলেও কংগ্রেসকেই রায়গঞ্জ আসনে সমর্থন দিয়েছে বামফ্রন্ট।
রায়গঞ্জে বামেদের সমর্থনেই বিধায়ক হয়েছেন জেলা কংগ্রেস সভাপতি মোহিত সেনগুপ্ত। অথচ বামেদের এই আন্দোলনে শুক্রবার কংগ্রেসকে পাশে পেলনা সিপিএম তথা বামফ্রন্ট ।
সিপিআইএম উত্তর দিনাজপুর জেলা সম্পাদক অপূর্ব পাল বলেন, 'আমরা আশা করেছিলাম ছাত্র-যুবদের উপর পুলিশি আক্রমণের প্রতিবাদে কংগ্রেস দলকে আজকের আন্দোলনে পাশে পাওয়ার। কিন্তু কেন তারা আন্দোলনে শামিল হলেন না তা বলতে পারব না।'
এ ব্যাপারে উত্তর দিনাজপুর জেলা কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি পবিত্র চন্দ বলেন, 'রাতে প্রদেশ কংগ্রেস থেকে মেসেজ আসায় সংগঠিতভাবে আন্দোলনে নামা সম্ভব হয়নি। তবে আমি ব্যক্তিগতভাবে দু-একটি জায়গায় বনধের সমর্থনে প্রচার করেছি।'
প্রসঙ্গত, সকলের জন্য শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের দাবি এবং শূন্যপদে নিয়োগের দাবিতে ১০ টি বামপন্থী ছাত্র-যুব সংগঠন বৃহস্পতিবার নবান্ন অভিযান করে।আন্দোলনকারীরা ব্যারিকেড অতিক্রম করার চেষ্টা করলেই পুলিশ বাধা দেয়। এরপরে দু'পক্ষের মধ্যে বচসা শুরু হয়। পরিস্থিতি হাতের নাগালের বাইরে চলে যায়। পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের মধ্যে বাধে সংঘর্ষ।
রাজ্যের পুলিশ ছাত্র-যুবদের প্রতিহত করতে লাঠিচার্জ, জলকামান চালায়। পুলিশের নির্মম আক্রমণে বহু ছাত্র যুব গুরুতর আহত হয় বলে দাবি বামেদের। আহত হয় দুতরফেই, ডিসিপি সহ একাধিক পুলিশ কর্মীও।
পুলিশের অত্যাচারের প্রতিবাদে রাজ্য বামফ্রন্ট শুক্রবার ১২ ঘন্টার বনধের ডাক দিয়েছে। তবে রায়গঞ্জে বনধের সমর্থনে কংগ্রেসকে পাশে না পাওয়ায় হতাশ সিপিএম।