পঞ্চায়েত অফিসে রাতভর মদ-মাংসের আসর, প্রধান সহ পঞ্চায়েতকর্মীরা ১৬ ঘণ্টা ঘেরাও
পঞ্চায়েত অফিসের ভিতর তালা বন্ধ করে রাতভর চলছিল মদ-মাংসের আসর। তাঁদের দফতরের মধ্যে তালাবন্দি করে ঘেরাও করে রাখলেন গ্রামবাসীরা। শুধু তাই নয়, রাতের অন্ধকারে দুর্নীতি ঢাকতেই কাজ চলছিল বলে অভিযোগ।
বিজেপি পরিচালিত পঞ্চায়েত অফিসে তুলকালাম কাণ্ড। রাতে পঞ্চায়েত অফিসে মদ-মাংসের আসর চলছিল। সেখানে ছিলেন প্রধান সহ পঞ্চায়েত কর্মীরা। বিষয়টি গ্রামবাসীদের নজরে আসতেই উত্তেজনা ছড়াল এলাকায়। পঞ্চায়েত অফিসে দুর্নীতির কাজ চলছিল বলে অভিযোগ। এই অবস্থায় প্রধান সহ পঞ্চায়েত কর্মীদের রাতভর তালাবন্দি রাখলেন গ্রামবাসীরা।
চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে পুরুলিয়ার ঝালদা থানার হেঁসাহাতু গ্রাম পঞ্চায়েত কার্যালয়ে। জানাগেছে, মঙ্গলবার রাত এগারোটা নাগাদ ওই পঞ্চায়েত অফিসে আলো দেখতে পান গ্রামবাসীরা। অফিসের ভিতর কী হচ্ছে জানতে ভেতরে ঢোকেন তাঁরা। অফিসের ভিতর ঢুকেই চক্ষু চড়কগাছ গ্রামবাসীদের।
পঞ্চায়েত অফিসের দেখা যায়, পড়ে রয়েছে মদের বোতল। মাংস রান্না করে খাওয়া করায় পড়ে রয়েছে হাড়গোড়। শুধু তাই নয়, সেই আসরে রয়েছেন পঞ্চায়েত প্রধান তেজনাথ মাহাতো এবং নির্ণায়ক সহায়ক রবি মাহাতো। এছাড়াও, অন্যান্য পঞ্চায়েতকর্মীরা।
গ্রামবাসীদের দাবি, এত রাতে পঞ্চায়েত অফিসে কী কাজ চলছে? জানতে চাইলে সদুত্তর দিতে পারেননি প্রধান তেজনাথ মাহাতো। এই অবস্থায় পঞ্চায়েতে রাতের অন্ধকারে দুর্নীতির চলছিল বলে অভিযোগ।
এরপরই বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা রাতেই প্রধান সহ অন্যান্যদের আটকে রেখে পঞ্চায়েত অফিসে তালা বন্ধ করে দেয়। কেউ যাতে পালাতে না পারে, সেজন্য রাতভর পাহারাও দেন গ্রামবাসীরা।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ঝালদা থানার পুলিশ। দুর্নীতির কাজ চলার অভিযোগ উড়িয়ে দেন পঞ্চায়েত প্রধান। রাতে ইন্টারনেটের সুবিধা ভাল পাওয়ার জন্য কিছু প্রকল্পের কাজ চলছিল বলে দাবি করেন তিনি।
রাত থেকে দিনভর ১৬ ঘণ্টা আটকে থাকার পর, বিডিও ও পুলিশের উপস্থিতিতে ঘেরাও মুক্ত হন পঞ্চায়েত সহ অন্য়ান্য কর্মীরা। বিজেপি পরিচালিত পঞ্চায়েতে এই ধরনের কাজ চলার তীব্র সমালোচনা করেছে তৃণমূল।