সিআরপিএফ-র ১৬৫ নম্বর ব্যাটেলিয়নের জওয়ান ছিলেন শহিদ শ্যামল দে। কাশ্মীর থেকে নিহত জওয়ানের কফিনবন্দি মেদিনীপুর শহরে পৌঁছয় শনিবার রাতে।
রবিবার ভোরে মেদিনীপুর থেকে শেষবারের মতো নিজের গ্রাম সবং-এর সিংপুর আনা হয় শহিদের দেহ। তখন কয়েক হাজার মানুষ জড়ো হয়েছে বাড়ির উঠোনে। ছেলের কফিনের সামনে কান্নায় ভেঙে পড়েন পরিবারের লোকেরা।
বাড়িতে দেহ রাখা ছিল বেশ কিছুক্ষণ। সেখান থেকে দেহ নিয়ে যাওয়া হয় সিংপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠের অস্থায়ী মঞ্চে। রীতিমাফিক শহিদ জওয়ানকে শেষশ্রদ্ধা জানান সিআরপিএফের ডিজি প্রদীপ কুমার সিং, কমান্ডিং অফিসার বিনোদ কুমার, জেলা পুলিশ সুপার দীনেশ কুমার-সহ সিআরপিএফ ও রাজ্য পুলিশের আধিকারিকরা।
গ্রামের স্কুলের মাঠেই শেষকৃত্য সম্পন্ন হয় শহিদ শ্যামল দে-এর। শেষকৃত্যে হাজির ছিলেন ঘাটালের তৃণমূল সাংসদ দেব, জেলার প্রাক্তন পুলিশ সুপার ও বিজেপি নেত্রী ভারতী ঘোষ-সহ একাধিক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা।
পরিবারের একমাত্র রোজগেরে সদস্য ছিলেন শ্যামল। ২০১৫ সালে সিআরপিএফ-এ যোগ দেন তিনি। কর্মজীবন পাঁচ বছরের বেশি স্থানীয় হল না। জঙ্গিদের নৃশংস হামলায় সব শেষ।
গত ডিসেম্বরে শেষবার ছুটিতে বাড়িতে এসেছিলেন। ছেলের জন্য এবার মেয়ে দেখার পর পরিকল্পনা করে ফেলেছিলেন শহিদ শ্যামল দে-র পরিবারের লোকেরা।