লকডাউনে মরণাপন্ন মায়ের ইচ্ছাপূরণ, স্কুটিতে চাপিয়ে বউ নিয়ে এলেন ডাক্তার ছেলে

 

লকডাউনের জন্য বিয়ের নির্ধারিত দিনক্ষণ পিছিয়ে গিয়েছিল। এরমধ্যে পাত্রের মা অত্যন্ত অসুস্থ হয়ে পড়েন। মরণাপন্ন মা ছেলের কাছে বউমার মুখ দেখার আবদার করেন। তাই মায়ের ইচ্ছার মূল্য দিতে লকডাউনের মধ্যে শুভদিন-টিনের বালাই না রেখেই বিয়ে করে স্কুটিতে চাপিয়ে নতুন বউকে নিয়ে সটান মায়ের কাছে হাজির হলেন তাঁর ডাক্তার ছেলে। কীভাবে হল এই অভিনব বিয়ে, দেখে নেওয়া যাক ছবিতে ছবিতে ...

 

amartya lahiri | Published : May 12, 2020 1:04 PM IST

110
লকডাউনে মরণাপন্ন মায়ের ইচ্ছাপূরণ, স্কুটিতে চাপিয়ে বউ নিয়ে এলেন ডাক্তার ছেলে

২ বৈশাখ বিয়ের দিন ঠিক ছিল নদিয়ার হাঁসখালি ব্লকের বগুলার চিকিৎসক শ্রীকৃষ্ণ বিশ্বাস এবং কৃষ্ণগঞ্জ শাকদহ গ্রামের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী রাখি দাসের।

 

210

কিন্তু, এরমধ্যে বাধ সাধে করোনাভাইরাস মহামারি ও তাকে ঠেকাতে জারি হওয়া লকডাউন। পাত্র-পাত্রী দুই পক্ষ থেকেই বিয়ে পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। এরমধ্যে গত সপ্তাহে হঠাৎই ডাক্তার শ্রীকৃষ্ণ বিশ্বাসের মা হৃদরোগে আক্রান্ত হন।

 

310

মরনাপন্ন মা নতুন বউমার মুখ দেখার জন্য ছেলের কাছে পিড়াপিড়ি শুরু করেছিলেন। শ্রীকৃষ্ণ তার পরিবারের লোকজন নিয়ে রাখিদের বাড়িতে গিয়ে সবকথা খুলে বলেন।

 

410

উভয়পক্ষই বিয়েতে রাজি হওয়ায় সোমবার শ্রীকৃষ্ণ নিজেই বরের বেশে স্কুটি চালিয়ে হাজির হন রাখি দাস-এর বাড়িতে। পাত্র পক্ষের তিনজন এবং পাত্রী পক্ষের খুব সামান্য লোকজন উপস্থিত ছিলেন।

 

510

সাতপাকে ঘোরাবার জন্য পিড়ি ধরার লোক না থাকায় রাখি নিজেই পায়ে হেঁটে সাতবার প্রদক্ষিণ করেন শ্রীকৃষ্ণকে, হয় সিঁদুর দানও।
 

610

শুভ দিনক্ষণ না মানলেও শুধু রেজিস্ট্রি করে নয়, রীতিমতো অগ্নিসাক্ষী করেই বিয়ে করেন তাঁরা।

710

বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হতেই শ্রীকৃষ্ণ মায়ের কথা রাখতে স্কুটিতে করে নববধূ রাখিকে নিয়ে হাজির হন অসুস্থ মায়ের কাছে।

 

810

রাখির দাদা উত্তম দাস জানিয়েছেন, এরকম অনাড়ম্বরভাবে বোনের বিয়ে দিতে তাঁর মন চাইছিল না। কিন্তু, তাঁর শ্রীকৃষ্ণের মা বউ-এর মুখ দেখতে চাইছেন, তিনি মরণাপন্ন। তাই লকডাউনের মধ্যে এরকমভাবেই তিনি বোনের বিয়ে দিতে বাধ্য হলেন।

 

910

পাত্রী রাখি দাস জানিয়েছেন, তাঁর শ্বাশুড়িমা দেখার জন্য ছটফট করছেন। তাই এভাবে বিয়ে করলেন তাঁরা। দিনক্ষণ কিছুই না দেখেই বিয়ে করলেন, কারণ মানুষের জীবনটা আগে।

 

1010

পাত্র ডাক্তার শ্রীকৃষ্ণ বিশ্বাস জানিয়েছেন, লকডাউনের মধ্যেও তাঁরা একেবারে সব নিয়মকানুন মেনেই বিয়ে করছেন। পাশাপাশি মহামারিরোধে যেসব স্বাস্থবিধি মানার কথা বলা হয়েছে, তাও তাঁরা মেনেছেন।

 

Share this Photo Gallery
click me!
Recommended Photos