ভাত- ডাল থেকে পরকীয়া, বিজেপি-তে গিয়ে কী কী সইতে হচ্ছে শোভন- বৈশাখীকে
কখনও দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ তাঁদের বলছেন ভাত- ডাল। কখনও আবার দেবশ্রী রায়ের যোগদান নিয়ে তাঁদের কোনও শর্ত মানা হবে না বলেই শোভন- বৈশাখীকে বার্তা দিচ্ছেন কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়। এসব তো ছিলই, শেষ পর্যন্ত রবিবার বর্ধমানের একটি সভা থেকে প্রকাশ্যে শোভন- বৈশাখীর সম্পর্ককে পরকীয়া বলে কটাক্ষ করলেন বিজেপি নেতা জয় বন্দ্যোপাধ্যায়। একনজরে দেখে নেওয়া যাক, বিজেপি-তে যোগ দেওয়ার পর থেকেই কী কী বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছে শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে।
দিল্লিতে বিজেপি-তে যোগদানের দিনই বিতর্কের সূত্রপাত। শোভন এবং বৈশাখীর উপস্থিতিতেই বিজেপি সদর দফতরে হাজির হন রায়দিঘির তৃণমূল বিধায়ক দেবশ্রী রায়। ক্ষুব্ধ শোভন এবং বৈশাখী জানিয়ে দেন, দেবশ্রী বিজেপি-তে যোগ দিলে তাঁরা দল ছাড়বেন।
দেবশ্রী নিয়ে শোভন এবং বৈশাখীর আপত্তি সত্ত্বেও পরে কলকাতায় তাঁর সঙ্গে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ দেখা করেছেন বলে খবর। যা নিয়ে প্রবল ক্ষুব্ধ হন শোভন- বৈশাখী।
দিল্লিতে বিজেপি-তে যোগদানের পরে কলকাতায় দলের রাজ্য অফিসে শোভন চট্টোপাধ্য়ায় এবং বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের সংবর্ধনা নিতে যাওয়া নিয়েও বিতর্ক ছড়ায়। অভিযোগ, আমন্ত্রণপত্রে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের নাম থাকলেও বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম ছিল না। বান্ধবীর এই অপমানে ক্ষুব্ধ হন কলকাতার প্রাক্তন মেয়র।
শোভন এবং বৈশাখীর সম্পর্ককে ভাত- ডাল বলে মন্তব্য করেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বলে দেন, ভাতের সঙ্গে যেমন ডাল থাকেই, সেরকমই শোভনের সঙ্গে বৈশাখীও থাকবেনই।
কলকাতায় প্রথম যেদিন শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপি রাজ্য দফতরে যান, সেদিন বিজেপি-র রাজ্য নেতৃত্বের বৈঠকে শোভনের সঙ্গে ঢুকতে গেলে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে বাধা দেওয়া হয় বলেও খবর ছড়িয়েছিল।
পরের পর ঘটনায় অপমানিত শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় দল ছাড়বেন বলে শীর্ষ নেতৃত্বকে বার্তাও দেন। এর পরে দিল্লিতে তাঁদের সঙ্গে বৈঠক করে পরিস্থিতি সামাল দেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়।
তার পরেও অবশ্য জট বিশেষ কাটেনি। দেবশ্রী রায়ের যোগদান নিয়ে শোভন এবং বৈশাখীর কোনও শর্তই মানা হবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, দলের কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়।
আর এবার প্রকাশ্যেই শোভন এবং বৈশাখীর সম্পর্ককে পরকীয়া বললেন বিজেপি নেতা জয় বন্দ্যোপাধ্যায়। জয় বন্দ্যোপাধ্য়ায় লোকসভায় দলের হয়ে প্রার্থীও হয়েছেন। তাঁর এ হেন মন্তব্যে শোভন- বৈশাখী কী প্রতিক্রিয়া দেন, বিজেপি নেতৃত্বই বা কোনও পদক্ষেপ করেন কি না, সেটাই এখন দেখার।