১৮৬১ সালের ৭ মে জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। বাংলা মতে সালটা ছিল ১৪২২এর ২৫ বৈশাখ।
কথায় রয়েছে বাঙালি মাত্র দুটি বাংলা তারিখ মনে রাখে একটি পয়লা বৈশাখ। আর অন্যটি হল ২৫ বৈশাখ। এই দুটি তারিখ আরও বাঙালির কাছে অত্যান্ত গর্বের। অত্যান্ত সম্মানের। পয়লা বৈশাখ হয়ে গেছে এগিয়ে আসছে ২৫শে বৈশাখ। এই দিনটি এখনও বাঙালি শ্রদ্ধার সঙ্গে পালন করে। পাশাপাশি একটি দিন বিশেষ ভাবে বাঙালি হয়ে ওঠারও চেষ্টা করে। আগামী সোমবার ২৫ বৈশাখ। এদিন রাজ্যজুড়ে একাধিক অনুষ্ঠান হয়। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গান আর কবিকাতেই তাঁকে শ্রদ্ধার্ঘ্য দেওয়া হয়। সরকারি অনুষ্ঠানের পাশাপাশি বেসরকারি অনুষ্ঠানও হয়। এই রাজ্যের সঙ্গে দেশেই একাধিক অনুষ্ঠান হয়। নোবেল জয়ী বিশ্বকবিকে এই দিনে স্মরণ করে বিদেশের মানুষও। কারণ তিনি শুধুই যে আমাদের কবি তা নয়। তিনিতো বিশ্বের কবি!
জর্জিয়ান ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ১৮৬১ সালের ৭ মে জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। বাংলা মতে সালটা ছিল ১৪২২এর ২৫ বৈশাখ। তিনি ছিলেন তাঁর পিতামাতার চতুর্দশ সন্তান। এই দিনটি ভারত ও বাংলাদেশ রবীন্দ্র জয়ন্তী হিসেবে পালন করে আসছে। চলতি বছর এই রাজ্যে ৯ মে পালন করা হবে রবীন্দ্র জয়ন্তীর অনুষ্ঠান।
ঠাকুর পরিবার ব্রহ্ম ধর্মে বিশ্বাসী ছিল। এই পরিবারে মূর্তি পুজোর রেওয়াজ ছিল না। কিন্তু সেই পরিবারের সন্তান মৃত্যুর পরেও বহু জায়গায় ঠাকুর রূপেই পুজো পান। ফুলের মালা আর ধূপের ধোঁয়ায় এখনও শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয় কবিগুরুকে। তাঁকে স্মণের মাধ্যমে বংলা সাহিত্যের দিক পরিবর্তনকেও স্মরণ করা হয়। তাঁর লেখা গান এখনও তিনটি দেশের জাতীয় সঙ্গীত। ভারত, বাংলাদেশ আর শ্রীলঙ্কা। একই সঙ্গে স্মরণ করা হয় ১৯১৩ সালে তাঁর নোবেল জয়কে। এই দিনে শান্তিনিকেতনে বিশেষ কোনও অনুষ্ঠান হয় না।
পশ্চিমবঙ্গ সরকার ও রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে একাধিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। দিনভরই চলে স্মরণ করা হয় বিশ্বকবিকে। পশ্চিমবঙ্গে এখনও পর্যন্ত অত্যান্ত জাঁকজমকের সঙ্গে এই দিনটি পালন করা হয়। কথায় রয়েছে বাঙালীর জীবনে সবকিছুর সঙ্গে কোনও না কোনও ভাবে জড়িয়ে রয়েছে রবিঠাকুর।