দিল্লিতে গভর্নর জেনারেল ও ভাইসরয় লর্ড হার্ডিঞ্জের ওপর বোমা হামলার নেতৃত্ব রাসবিহারী বসু। ঘটনায় পুলিশ তাঁকে গ্রেফতারের চেষ্টা করেন। কিন্তু, তিনি সুকৌশনে ব্রিটিশ গোয়েন্দা সংস্থার নজর এড়িয়ে ১৯১৫ সালে জাপান পালিয়ে যান। তিনিই ভারতের বাইরে সিঙ্গাপুরে আজাদ হিন্দ ফৌজ গঠন করেন। পরবর্তীকালে নেতাজির (Netaji) হাতে আজাদ হিন্দ ফৌজ-এর পরিচালনার ভার তুলে দেন।
স্বাধীনতা সংগ্রামের একজন অগ্রগণ্য বিপ্লবী নেতা ছিলেন রাসবিহারী বসু (Rash Behari Bose)। ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল আর্মি অন্যতম সংগঠক ছিলেন তিনি। ১৯৮৩ সালে জাপান সরকার রাসবিহারী বসুকে সম্মানসূচক সেকেন্ড অর্ডার অব দি মেরিট অব দি রাইজিং সান খেতাবে ভুষিত হন। অন্যদিকে, ১৯৬৭ সালে ২৬ ডিসেম্বর ভারত সরকার তাঁর স্মৃতিরক্ষার্থে ডাকটিকিট প্রকাশ করেন। আজ এই বিপ্লবীর মৃত্যু বার্ষিকী। তিনি ২১ জানুয়ারি ১৯৪৫ সালে মাত্র ৫৮ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
দিল্লিতে গভর্নর জেনারেল ও ভাইসরয় লর্ড হার্ডিঞ্জের ওপর বোমা হামলার নেতৃত্ব রাসবিহারী বসু। ঘটনায় পুলিশ তাঁকে গ্রেফতারের চেষ্টা করেন। কিন্তু, তিনি সুকৌশনে ব্রিটিশ গোয়েন্দা সংস্থার নজর এড়িয়ে ১৯১৫ সালে জাপান পালিয়ে যান। তিনিই ভারতের বাইরে সিঙ্গাপুরে আজাদ হিন্দ ফৌজ গঠন করেন। পরবর্তীকালে নেতাজির (Netaji) হাতে আজাদ হিন্দ ফৌজ-এর পরিচালনার ভার তুলে দেন।
১৮৮৬ সালে পূর্ব বর্ধমানে সুবলদহ গ্রামে জন্ম হল রাসবিহারী বসুর (Rash Behari Bose)। সেখানেই কেটেছে তাঁর ছোটবেলা। শোনা যায়, তিনি ছোট বয়স লাঠি খেলায় পারদর্শী ছিলেন। তখন তিনি নাকি ইংরেজদের মূর্তি তৈরি করে তা লাঠি দিয়ে ভাঙতেন। ছোট বস বর্ধমানে কাটলেও জীবনের শেষটা কটিয়েছেন জাপানে। তিনি ১৯১৮ খ্রীষ্টাব্দের ৯ জুলাই রাসবিহারী বসু জাপানি সোমা পরিবারের কন্যা তোশিকো সোমাকে গোপনে বিবাহ করেন। তাদের দুই সন্তানের নাম হল তেৎসুকো হিগুচি বসু ও মাশাহিদের বসু।
জীবনের প্রথম থেকেই বিপ্লবী কর্মকান্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ১৯০৮ সালে আলিপুর বোমা বিস্ফোরণের মামলায় যুক্ত হন। পরে দেরাদুনে (Dehradun) যান। সেখানে বন্য গবেষণা ইনস্টিটিউটে হেড ক্লার্ক হিসেবে নিযুক্ত হন। বহু বিপ্লবী কর্মকান্ডের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন রাসবিহারী বসু। যে কারণে, ব্রিটিশ সরকারের সন্দেহভাজন হয়ে ওঠেন। তাঁর নেতৃত্বে বড়লাট হার্ডিঞ্জের ওপর প্রাণঘাতী হামলা করা হয়েছিল। কিন্তু, পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। সমগ্র ভারতব্যাপী সশস্ত্র সেনা ও গণ অভ্যুত্থান গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছিলেন রাসবিহারী বসু (Rash Behari Bose)।
জানা যায়, রাসবিহারী বসু জাপানি কর্তৃপক্ষ ভারতীয় জাতীয়তাবাদীদের পাশে দাঁড়ায় এবং শেষ পর্যন্ত ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে সক্রিয় সমর্থন যোগায়। ১৯৪২ খ্রিস্টাব্দের ২৮-১৯ মার্চ টোকিওতে তাঁর ডাকে অনুষ্ঠিত একটি সম্মেলনে ইন্ডিয়ান ইন্ডিপেন্ডেন্স লীগ বা ভারতীয় স্বাধীনতা লীগ গঠনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। তিনিই ছিলেন ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল আর্মি অন্যতম সংগঠক।