বাঁশি বাজিয়ে সকলকে আনন্দ দিতেন বিরসা, কীভাবে হয়েছিলেন ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের নায়ক

সালটা ১৯৯৪, ৯ আগস্ট। এই দিনটিকেই বিশ্ব আদিবাসী দিবস হিসেবে বেছে নিয়েছিল রাষ্ট্রসংঘ। ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের কতা স্মরণ করলেই প্রথম সারিতে উঠে আসে বিরসা মুন্ডার নাম। আদিবাসী বিরসা মুন্ডা ছিলেন মুন্ডা উপজাতির অন্যতম বড় মুখ এবং সমাজ সংস্কারক। উনিশ শতকে ব্রিটিশ রাজের বিরুদ্ধে একাধিক লড়াইয়ে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন ভারতের বীর বিপ্লবী বিরসা মুন্ডা। 

Riya Das | Published : Aug 9, 2021 7:18 AM IST

সালটা ১৯৯৪, ৯ আগস্ট। এই দিনটিকেই বিশ্ব আদিবাসী দিবস হিসেবে বেছে নিয়েছিল রাষ্ট্রসংঘ। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতোই ভারতেও বিশেষ মর্যাদার সঙ্গে এই দিনটি উদযাপন করা হয়। আসলে অধিবাসীদের অধিকার-ঐতিহ্যকে মর্যাদার লক্ষেই এই দিনটি উদযাপিত হয়। এই আদিবাসীদের অন্যতম পথিকৃৎ হলেন বিরসা মুন্ডা। ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের কতা স্মরণ করলেই প্রথম সারিতে উঠে আসে বিরসা মুন্ডার নাম। আদিবাসী বিরসা মুন্ডা ছিলেন মুন্ডা উপজাতির অন্যতম বড় মুখ।

 

 

একজন মুন্ডা আদিবাসী এবং সমাজ সংস্কারক বিরসা মুন্ডা। উনিশ শতকে ব্রিটিশ রাজের বিরুদ্ধে একাধিক লড়াইয়ে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন ভারতের বীর বিপ্লবী বিরসা মুন্ডা। বহু উপজাতি অঞ্চল যেমন তামার,খুন্তি, বান্দগাঁও  এবং সরওয়াদায় লড়াই করেছিলেন তিনি। ব্রিটিশ শাসকদের অত্যাচার-অবিচারের বিরুদ্ধে তিনি আদিবাসী মুন্ডাদের সংগঠিত করে মুন্ডা বিদ্রোহ সূচনা করেছিলেন।  ১৮৭৫ সালে ১৫ নভেম্বর তৎকালীন বিহার বর্তমান ঝাড়খন্ড রাজ্যের রাচির উলিহাতু গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন বিরসা মুন্ডা। সালগা গ্রামে পড়াশোনা করার পর চাইবাসা ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে পড়াশোনা করেন বিরসা। কিন্তু ছোটবেলা থেকেই তিনি সমাজের প্রতি ও ব্রিটিশ শাসক দ্বারা অত্যাচারিত হওয়া মানুষজনকে নিয়ে চিন্তিত থাকতেন বিরসা।

আরও পড়ুন-জমিদারি শাসন-ব্রিটিশ বিরুদ্ধে প্রথম সশস্ত্র আন্দোলন, নেতৃত্বে ছিলেন সিধু-কানু, আজ তা মলিন ইতিহাস

আরও পড়ুন-নেই মাতৃভাষায় পড়াশোনার অধিকার, উন্নয়নের আলো থেকে দূরে থেকেই আদিবাসী দিবস পালন বিশ্বের

 

১৮৯৯-১৯০০ সালে বিরসা মুন্ডার নেতৃত্বে  মুন্ডা বিদ্রোহ হয়। রাচির দক্ষিণাঞ্চলে সৃষ্ট এই বিদ্রোহকে মুন্ডারি ভাষায় বলা হয় উলগুলান। যার অর্থ প্রবল বিক্ষোভ। এই বিদ্রোহের মূল লক্ষ্য ছিল মুন্ডা রাজ ও স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠা করা। কিন্তু বিদ্রোহের পরে বিরসা সহ তার শতাধিক সঙ্গীরা একে একে গ্রেপ্তার হন। এবং বিচারে বিরসা মুন্ডা ও ধৃত অন্য দুজনের ফাঁসি হয়, ১২ জনের দ্বীপান্তর এবং ৭৩ জনের দীর্ঘ কারাবাস হয়। । ফাঁসির আগের দিন ৯ই জুন ১৯০০ সালে রাঁচি জেলের অভ্যন্তরে খাবারের মধ্যে বিষ প্রয়োগের ফলে তাঁর মৃত্যু ঘটে। আজ আদিবাসী দিবসের দিনে সকল আদিবাসীদের মনের ভিতরে জ্বলজ্বল করে উঠছে বিরসার আত্মত্যাগ। 
 

 

Share this article
click me!