প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহারে আপনার ত্বক যেমন ভালো থাকবে তেমন শরীরও ভালো থাকবে। আর এই সব উপাদান আপনার ঘরের মধ্যেই রয়েছে।
স্নানের সময় সাবান না মাখলে যেন চলে না। মনে হয় গা-টা ঠিক পরিষ্কার হল না। তবে স্নানের সময় শুধুমাত্র সাবান নয় তার সঙ্গে কিছু ভেষজ বা প্রাকৃতিক জিনিস ব্যবহার করুন। দেখবেন দিনভর শরীর এবং মন তরতাজা থাকবে। সেই কারণে অনেকেই স্নানের সময় এসেন্সিয়াল অয়েল ব্যবহার করার পরামর্শ দেন। আর এই বিষয়টি প্রচলিত রয়েছে সেই প্রাচীন কাল থেকে। এতে মস্তিষ্কের উপর ইতিবাচক প্রভাব পড়ে। মন ও শরীর দুই তরতাজা থাকে। এছাড়াও প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহারে আপনার ত্বক যেমন ভালো থাকবে তেমন শরীরও ভালো থাকবে। আর এই সব উপাদান আপনার ঘরের মধ্যেই রয়েছে।
আদা
রান্নায় স্বাদ আনতে, সর্দি, কাশি সারাতে আদার গুণাগুণের কথা সবাই জানে। কিন্তু তা বলে আদা দিয়ে স্নান? একবার ব্যবহার করে দেখুন। ফল হাতে নাতে পাবেন। এক বালতি জলে এক টুকরো আদা কিংবা বাথটবের জলে চার-পাঁচটি টুকরো আদা ফেলে দিন। আদার জলে স্নান করলে শরীরের ব্যথা দূর হয়। এতে শরীর সতেজ থাকে আবার সর্দি কাশিতেও উপকার পাওয়া যায়।
গ্রিন টি
প্রতিদিন গ্রিন টি পান করলে শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। শরীর ভালো থাকে। এর ভেষজ গুণের কথা বলে শেষ করা যায় না। এই যেমন এক বালতি জলে দুটি টি ব্যাগ চুবিয়ে রাখুন। বাথটবে স্নান করলে ছয়-সাতটি টি ব্যাগ ব্যবহার করুন। জলের তাপমাত্রা সাধারণ হতে হবে। গরম জল যেন একেবারেই না হয়। গরম জলে গ্রিন টি দিয়ে স্নান করলে আবার ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়।
দুধ
দুধে স্নান করার রেওয়াজ বহু যুগ ধরেই চলে আসছে। প্রাচীনকালে রাজা-রানি, সম্রাট-সম্রাজ্ঞী, সুলতান-বেগমরা ধদুধের মধ্যে স্নান করতেন। আজও করা যায়। এক বালতি জলে এক কাপ দুধ মিশিয়ে নিন। আর তা দিয়ে স্নান করে ফেলুন। নিয়মিত দুধ জলে স্নান করলে ত্বকের মৃত কোষগুলো ঝরে যায়।
ওটমিল
ওটমিল স্বাস্থ্যকর খাবার। যে কোনও বয়সের যে কোনও মানুষই এটি খেতে পারে। কিন্তু এটি যে স্নানের উপাদান হিসেবে ব্যবহার করা যায় তা হয়তো অনেকেই জানেন না। বিশেষ করে শীতকালে ওটমিল দিয়ে স্নান করা খুব উপকারী। অলিভ অয়েল বা যে কোনও তেলের সঙ্গে ওটমিল মিশিয়ে গায়ে মাখুন। কিংবা গরম জলে এক দুই কাপ ওটমিল এবং অল্প মধু দিয়ে কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখুন। তারপর সাধারণ জলের মধ্যে সেই জল মিশিয়ে স্নান করুন। ত্বকের রুক্ষতা কমবে। শরীর তরতাজা থাকবে।
মধু
মধু দিয়ে স্নান করার প্রথার বয়স দশ হাজার ছাড়িয়েছে। স্নানের জলে দুই চামচ মধু মিশিয়ে নিন। মিনিট পনেরো জলটি রেখে দিয়ে তাতে দিন বেকিং সোডা। আরও পনেরো মিনিট রাখুন। এবার সেই জল দিয়ে স্নান করে ফেলুন।