রান্নাঘরের অন্যতম একটি মশলা হল মেথি
ভারতের প্রতিটি গৃহস্থের ঘরে দেখা মেলে এই মশলা
পাঁচ ফোড়নের একটি অন্যতম উপাদান
এই পানীয় মুক্তি দেবে ১০ রকম শারীরিক সমস্যা থেকে
প্রাচীন কাল থেকেই আমাদের রান্নাঘরের অন্যতম একটি মশলা হল মেথি। এটি মূলত রান্নায় স্বাদ বাড়ানোর জন্য ভারতের প্রতিটি গৃহস্থের ঘরে দেখা মেলে। এটি পাঁচ ফোড়নের একটি অন্যতম উপাদান। মেথি থেকে ষ্টেরয়েডের উপাদান তৈরি হয়। মেথিকে মসলা, খাবার, পথ্য—তিনটাই বলা চলে। মেথির স্বাদ বেশ তেঁতো ধরনের। স্বাদ বাড়ানো ছাড়াও মেথি বীজ স্বাস্থ্যের পক্ষেও খুব উপকারী। মেথির বীজে অ্যান্টি-অক্সিডেন্টস এবং অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এই মশলা চুল, ত্বক এবং স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। প্রতিদিন সকাল বেলা খালি পেটে এক গ্লাস মেথি ভেজানো জল মুক্তি দেবে ১০ রকম শারীরিক সমস্যা থেকে।
আরও পড়ুন- অব্যর্থ এই ঘরোয়া টোটকায় মাত্র এক সপ্তাাহে মুক্তি পাবেন খুসকির সমস্যা থেকে
মেথিতে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ফাইবার যা আপনার ওজনের ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়তা করে। মেথি ভেজানো জল খালি পেটে পান করলে শরীরের রোগ-জীবাণু মরে, বিশেষত কৃমিনাশে দারুণ কার্যকর এই পানীয়। বার্ধক্যকে দূরে ঠেলে দিয়ে তারুণ্যকে দীর্ঘস্থায়ী করতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে মেথি বা মেথি ভেজানো জল। মেথি ভেজানো জল খালি পেটে পান করলে রক্তে ক্ষতিকর কোলেস্টেরল বা চর্বির মাত্রা কমে যায়। মেথির জল শরীর থেকে ক্ষতিকারক টক্সিন অপসারণে সহায়তা করে। পাশাপাশি অন্ত্রের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। মেথি ভেজানো জল অনেকক্ষেত্রে স্ট্রোক হওয়ার প্রবণতা তুলনামূলকভাবে কমাতে সাহায্য করে বলে মনে করা হয়। এছাড়া কোষ্ঠকাঠিন্য, বদহজমের মতো হজম সমস্যার সমাধানের জন্য মেথি ভেজানো জল অত্যন্ত উপকারী।
আরও পড়ুন- প্যান্ডেলের কাপড় ছিঁড়ে বিয়ের আসরে বরের প্রবেশ, দেখে নিন ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি
একটি শুকনো কড়ায় মেথি বীজ ভেজে নিন। এরপরে বীজের গুঁড়া তৈরি করুন। এক গ্লাস গরম জলে এক চা চামচ মেথি বীজের গুঁড়ো মিশিয়ে নিন। মেথির জল প্রস্তুত। স্বাস্থ্যের অসুবিধাগুলি কাটাতে আপনি সকালে এই পানীয় পান করতে পারেন। মেথির বীজ ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনেও সাহায্য করে। কারণ মেথি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সক্ষম। মেথির বীজে পাওয়া অ্যামিনো অ্যাসিড যৌগ অগ্ন্যাশয়ে ইনসুলিন নিঃসরণ বাড়ায়। যা শরীরের রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে সহায়তা করে। মেথির বীজে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্টস এবং অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য যা চুলের বৃদ্ধির জন্য সহায়ক। মেথির জল পান করার ফলে চুলের বৃদ্ধির পাশাপাশি খুশকি এবং স্ক্যাল্পের শুষ্কতাও দূর হয়।