ক্ষমা করে দিলে আপনি কিন্তু সুস্থ আর স্বাভাবিক থাকতে পারবেন। তেমনই বলছেন বিশেষজ্ঞরা। ক্ষমা করে দিলে হবে না হার্ট অ্যাটাক।
ক্ষমাই পরম ধর্ম- বহুদিনের পুরনো প্রবাদ। কিন্তু আপনি জানেন কি মনোবিজ্ঞানী বা চিকিৎসকরাই বলছেন মনের মধ্য রাগ বা ক্রোধ পুষে না রেখে ক্ষমা করে দেওয়াই ভালো। তাতে শুধু অন্য প্রান্তে থাকা ব্যক্তিটি নন। ভালো থাকবেন আপনিও- পুরোনকে ভুলে নতুন দিন শুরু করতে পারবেন।
ক্ষমা করার মাধ্যমে আপনি আপনার বন্ধু ও আত্মীয় মহলে জনপ্রিয় হয়ে যাবেন। অনেকেই আপনাকে হ্যাপি গো লাকি ট্যাগও দিয়ে দিতে পারে। কিন্ত আসল কথা হলে নিজে ভালো থাকা। তাই আপনি ভালো থাকলে আপনার পরিবারও ভালো থাকবে। জীবনে উন্নতি আর সমৃদ্ধির পথও প্রসস্ত হবে।
মনোবিজ্ঞানের কথা অনুযায়ী ক্ষমা করা একটি ভালো জিনিস। কারণ এতে অনেকগুলি সুবিধে রয়েছে। আপনি যদি কারও ব্যবহারে দুঃখ বা আঘাত পেয়ে থাকেন যত দ্রুত আপনি তাকে ক্ষমা করে দেবেন তত দ্রুত আপনি নিয়েও স্বস্তি পাবেন। এখানে ক্ষমা করার এক অর্থ হল নিজের মত করে চলা। যা ধীরে ধীরে আপনার মনকে শক্তিশালী করে তুলবে।
মনোবিজ্ঞানীদের কথায় শর্তহীন ক্ষমা আপনাকেই স্বস্তি দেয়। কারণ কাউকে ক্ষমা না করলে চাপ কিন্তু আপনার ওপরেও বাড়তে থাকে। তাতে আপনার নিজের বন্ধনগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ক্ষমা করার মাধ্যমে আপনি নিজেকেও ছাপিয়ে যেতে পারেন। কিন্তু মানুষের মধ্যে যদি প্রতিশোধ স্পৃহা থাকতে তা তার পরিবারের পাশাপাশি ব্যক্তিগত জীবনেই আশান্তি ডেকে আনে। আবার মানসিকভাবে স্বস্তিতে থাকতে দেয় না।
আপনিকি জানেন ক্ষমার মধ্যে জড়িয়ে রয়েছে আপনার আত্মার শান্তি। মনের মধ্যে রাগ পুষে না রেখে ক্ষমাই করে দিন। কারণ এই পদ্ধতি আপনার হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমিয়ে দেয়। রক্তচাপ আর কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। পাশাপাশি মাথাব্যাথাও কমিয়ে দেয়। তবে এটা অবশ্যই মনে রাখবে যে আপনি যাকে কোনও এমন ব্যক্তিকে বারবার ক্ষমা করছেন যিনি একই অন্যায় বারবার করে যাচ্ছেন। পাশাপাশি সেই ব্যক্তিকে অবশ্যই স্মরণ করিয়ে দিতে হবে যে তার কাজকর্মগুলি খুবই ভুল ছিল।