করোনাভাইরাস সংক্রমণ থেকে সুরক্ষিত থাকতে অতি প্রয়োজনীয় ফেস মাস্ক এবং অ্যালকোহল বেসড হ্যান্ড স্যানিটাইজার। মহামারির শুরুর সময় থেকেই বাজারে ফেস মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজারের কালো বাজারি চলছিল। যার জেরে প্রায় নাস্তানাবুদ পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয় সাধারণ মানুষকে। আর এবার দাম বৃদ্ধির পরেও শুরু হয়েছে নকল হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবসা। বাজারে ছেয়ে গিয়েছে এই নকল হ্যান্ড স্যানিটাইজার।
হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহারের বিশেষ কিছু বিধি নিয়ে বার বার জানিয়েছে চিতিৎসকেরা। কারণ এই হ্যান্ড স্যানিটাইজারে অ্যালকোহলের পরিমাণ বেশি থাকে। আর সেই কারণেই করোনার মত ভাইরাসের নিয়ন্ত্রণে রক্ষা করে। কারণ করোনা ভাইরাস দূর করতে বার বার ৯১ শতাংশ আইসোপ্রোপাইল অ্যালকোহল বা রাবিং অ্যালকোহল রয়েছে এমন হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহারের কথা বলা হয়েছে। তবে অবিকল অ্যালকোহল বেসড হ্যান্ড স্যানিটাইজারের মতই নকল হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ছেয়ে গিয়েছে বাজার তবে কীভাবে বুঝবেন আপনি যে হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবহার করছেন তা আসল কি না-
১) এর জন্য ছোট্ট একটি বাটিতে সামান্য হ্যান্ড স্যানিটাইজারের নিয়ে হেয়ার ড্রায়ার দিয়ে সেটি শুকনোর চেষ্টা করুন। খাঁটি হ্যান্ড স্যানিটাইজার হলে তা কয়েক সেকেন্ডেই শুকিয়ে যাবে, আর নকল হলে তা শুকোতে বেশ সময় নেবে।
২) একটি টিস্যু পেপার নিয়ে তাতে পেনের দাগ দিয়ে তার উপর কয়েক ফোঁটা হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে দিন। যদি পেনে কালি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে তবে হ্যান্ড স্যানিটাইজার একেবারে নকল। আর যদি পেনের কালি না ছড়িয়ে গিয়ে টিস্যু পেপারটি মুহূর্তে শুকিয়ে যায় তবে বুঝতে হবে হ্যান্ড স্যানিটাইজারটি একেবারে খাঁটি।
৩) একটি ছোট বাটিতে সামান্য ময়দা দিয়ে তাতে এক ঢাকনা হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে মাখতে শুরু করুন। যদি সহজেই জল দিয়ে মাখার মত ময়দা দলা পাকিয়ে যায় তবে হ্যান্ড স্যানিটাইজারটি ব্যবহার করবেন না খুব খারাপ মানের সেটি। আর যদি এমনটা না হয়ে তবে হ্যান্ড স্যানিটাইজারটি খাঁটি।