শীতের শুরুকেই যেমন জ্বর-সর্দি-কাশির উপসর্গ দেখা যায়, তেমনি এই ঋতুতে সংক্রমণের লক্ষণগুলিও ক্রমশ বৃদ্ধি পেতে থাকে। আর ঠান্ডা থেকে যে সংক্রমণটি সবার আগে দেখা দেয়, তা হল গলার সমস্যা।
শহরে শীত এখনও জাঁকিয়ে না বসলেও, ঋতু পরিবর্তনে হাজার একটা রোগ ইতিমধ্যেই দেখা দিয়েছে। প্রতিটি ঋতু পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গেই নানা ধরনের সংক্রমণ শরীরের মধ্যে বাসা বাঁধে। শীতের শুরুকেই যেমন জ্বর-সর্দি-কাশির উপসর্গ দেখা যায়, তেমনি এই ঋতুতে সংক্রমণের লক্ষণগুলিও ক্রমশ বৃদ্ধি পেতে থাকে। আর ঠান্ডা থেকে যে সংক্রমণটি সবার আগে দেখা দেয়, তা হল গলার সমস্যা।
সামান্য ঠান্ডা লাগলতেই সবার আগে ভাইরাস বাসা বাঁধে গলায়। গলা জ্বালা থেকে শুরু করে গলা ব্যথা নানা উপসর্গ দেখা দেয়। অনেকের ক্ষেত্রে এই সমস্যা কয়েক দিনের মধ্যে দূর হয়ে যায়। কিন্তু তাদের রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা কম, এই গলা সমস্যা সংক্রমণে গিয়ে পরিণত হয়। আর যখন গলার সংক্রমণ দেখা দেয়, তখন খাবার খাওয়া থেকে শুরু কথা বলা, সব কিছুতেই যন্ত্রণা ভোগ করতে হয়। তখন অ্যান্টিবায়োটিক ছাড়া কোনও ওষুধই কাজে আসে না। তাই এই রোগ বাড়াবাড়ি পর্যায়ে পৌঁছানোর আগেই কীভাবে সর্তকতা অবলম্বন করা যায় সেই বিষয়ে জেনে নিন।
গলার সংক্রমণের উপসর্গ-
টনসিলের প্রদাহ
ঘাড়ে লিম্ফ নোড ফুলে যাওয়া
গলা ব্যথা এবং ফুলে যাওয়া
কানে ব্যথা
জ্বরের সঙ্গে পেশীতে ব্যথা
নাক ও চোখ দিয়ে জল পড়া
খাবার গিলতে সমস্যা
কথা বললে ব্যথা অনুভব করা
গলার সংক্রমণ থেকে রেহাই পাওয়ার ঘরোয়া উপায়-
গলার সংক্রমণ বা ব্যথা হলে সঙ্গে সঙ্গে হালকা গরম জলে নুন মিশিয়ে গার্গল করুন। এটি খুবই উপকারী। গার্গলিং গলা ব্যথা, গলার জ্বালাভাব এবং কাশি কমাতে পারে। আসলে, নুনের মধ্যে আশ্চর্যজনক অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে। তবে ব্যথা থেকে আরাম পেতে দিনে দু’বার গার্গেল করতে হবে।
হলুদ দিয়ে দুধ খাওয়ার একাধিক উপকারিতা রয়েছে। এই দুধ পান করলে গলা ব্যথা ও সংক্রমণ দূর হয়। এটি গলার পাশাপাশি জ্বর, সর্দি, কাশির সমস্যাতেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। রাতে ঘুমানোর আগে গরম হলুদ দুধ পান করতে পারেন।
ঠান্ডা লাগলে ভেষজ চা আপনাকে অনেকটা আরাম দিতে পারে। টুকরো আদা, ২ টুকরো দারুচিনি, ৩ থেকে ৪টি তুলসী পাতা ফুটিয়ে গরম গরম এই চা পান করুন। এতে দূর হয়ে যাবে গলার সংক্রমণও।
এছাড়াও আপনি গরম জলে আদা, মধু ও লেবুর রস মিশিয়ে পান করতে পারেন। এটি কাশি এবং গলার ব্যথাকে উপশম করতে সাহায্য করবে।