পিরিয়ডস চলাকালীন রক্তদান কি স্বাস্থ্যকর, এই বিষয়ে কি বলছেন বিশেষজ্ঞরা

  • ১৪ জুন বিশ্ব রক্ত ​দান দিবস বিশ্ব জুড়ে পালিত হয়
  • রক্তদান সম্পর্কে সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়া
  • যারা অপরের জীবন বাঁচায় তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপণ
  • পিরিয়ডের সময় কি রক্তদান করা উচিত, জেনে নিন

deblina dey | Published : Jun 14, 2020 7:18 AM IST / Updated: Jun 14 2020, 01:23 PM IST

প্রতি বছর ১৪ জুন বিশ্ব রক্ত ​দান দিবস বিশ্ব জুড়ে পালিত হয়। এই দিনের উদ্দেশ্য হ'ল মানুষের মনে রক্তদান সম্পর্কে সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়া। পাশাপাশি রক্তদান করে যারা অপরের জীবন বাঁচায় তাদের সকলের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপণ করা। আমাদের মধ্যে এমন অনেক মানুষ আছেন যারা রক্তদান করতে চান, তবে তাদের রক্তদানের প্রক্রিয়া সম্পর্কে আশঙ্কা এবং ভুল তথ্য রয়েছে। সেই কারণেই তারা রক্তদান করতে দ্বিধা বোধ করেন। তাই বিশ্ব রক্তদান দিবসে আমরা রক্তদান সম্পর্কিত এই প্রশ্নের উত্তর জানার চেষ্টা করব যে পিরিয়ডের সময় রক্তদান করা উচিত কি না।

ঋতুস্রাবের দিনগুলিতে, যখন আপনার শরীর থেকে রক্ত ​​বের হচ্ছে, তখন এমন সময়ে যদি আপনাকে রক্তদান করতে বলা হয়, তবে অবশ্যই আপনার স্বাস্থ্যের জন্য আপনি উদ্বেগ প্রকাশ করবেন। তবে বাস্তবতা হ'ল নিয়মিত পিরিয়ডের সময় রক্ত ​​দেওয়ার আপনার ক্ষমতাকে প্রভাবিত করে না। তবুও আপনি যদি এক সপ্তাহ সময়সীমার পরে রক্ত ​​দান করেন তবে তা ভাল। তবে পিরিয়ডের সময় যদি আপনার ফ্লো খুব বেশি না হয়। পাশাপাশি আপনার হিমোগ্লোবিন ১১ গ্রাম প্রতি ডিএল হয় এবং আপনার যদি কোনও ব্যথা অনুভব না হয় তবে আপনি পিরিয়ডের সময়ও রক্ত ​​দান করতে পারেন। আপনি যদি পিরিয়ডের প্রথম দিনে হেভি ফ্লোয়ের কারণে এবং এই রকম সময়ে ফেটিগো বা মুড স্যুইং-এর মত সমস্যা থাকে, সেই সময় রক্ত ​​দান করলে, দেহে হিমোগ্লোবিন এবং আয়রনের মাত্রা হ্রাসের কারণে আপনি অসুস্থ বোধ করবেন।

রক্তদান সর্বদা স্বেচ্ছায় করা উচিত কখনোই চাপে পড়ে করা উচিত নয়। এটি এক ধরনের পরিষেবা যা একজন মানুষ স্বেচ্ছা অপর একজন মানুষের জন্য সম্পাদন করে। কোনও ব্যক্তি যদি রক্ত ​​দান করেন, এতে ৫ জন মানুষের প্রাণ বাঁচানো যেতে পারে। যে রোগীদের শল্য চিকিত্সা হয়েছে, যাদের প্লেটলেট প্রয়োজন, যাদের হিমোফিলিয়া রয়েছে বা যারা অঙ্গ প্রতিস্থাপন বা কেমোথেরাপি রয়েছেন তাদের রক্ত ​​সঞ্চালন প্রয়োজন। যারা রক্ত ​​দান করতে চান তাদের অবশ্যই সাধারণ নির্দেশাবলী মেন তবেই করুন। মহিলাদের ক্ষেত্রে পিরিয়ডস-এর সময় আরও বহু সমস্যা লক্ষ করা যায়, সেই বিষয়ে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ নিয়ে তবেই স্বেচ্ছায় রক্তদান করুন। একজন মৃত্যু পথযাত্রী মানুষকে বাঁচিয়ে তোলার আনন্দ সাধারণ মানুষ এই কাজের মধ্যে দিয়েই পায়।

যারা রক্ত ​​দান করতে চান তাদের অবশ্যই এই সাধারণ নির্দেশাবলী অনুসরণ করা উচিৎ-

কোনও ব্যক্তির রক্তে হিমোগ্লোবিনের সর্বনিম্ন মাত্রা অবশ্যই ১১ গ্রাম / ডিএল হতে হবে

রক্তদাতার ন্যূনতম ওজন কমপক্ষে ৪৯ কেজি হওয়া উচিত

রক্তদানকারী ব্যক্তির বয়স ১৮ থেকে ৬৫ বছরের মধ্যে হতে হবে।

রক্তদানের সময় কোনও ব্যক্তির উপবাস থাকা উচিত নয়।

রক্ত দেওয়ার আগে পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করা উচিত

রক্ত দেওয়ার আগে আয়রন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া উচিত

রক্তদাতার দেহের  তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকতে হবে

রক্তদানকারী ব্যক্তিকে তার চিকিত্সার হিস্ট্রি থাকলে চিকিৎসক-কে তা দেখাতে হবে

Share this article
click me!