কেউ নাজেহাল ফাটা গোড়ালির সমস্যায়, কেউ বা আবার খুসকির সমস্যায় ভোগেন। আবার কারও চামড়া পুরো কুঁচকে যায়। এমনকী, হাত ও পায়ের ত্বক ফেটে গিয়ে অনেকের রক্তও বের হয়ে যায়।
খেয়ে, ঘুরে, ঘুমিয়ে আরাম শীতকালে। এমনকী, সাজ-গোজ করতেও কোনও সমস্যা হয় না। কারণ মেকআপ ঘেঁটে যাওয়ারও কোনও চিন্তা থাকে না। শুধু চিন্তা থাকে একটাই তা হল শুষ্ক ত্বক। তার জেরে পা থেকে মাথা পর্যন্ত ভাবতে হয়। শুষ্ক ত্বকের প্রভাবে অনেক সমস্যা দেখা যায়। কেউ নাজেহাল ফাটা গোড়ালির সমস্যায়, কেউ বা আবার খুসকির সমস্যায় ভোগেন। আবার কারও চামড়া পুরো কুঁচকে যায়। এমনকী, হাত ও পায়ের ত্বক ফেটে গিয়ে অনেকের রক্তও বের হয়ে যায়।
শীতে হাত আর পায়ের ত্বক আরও বেশি করে শুকিয়ে যায় তার কারণ এই দুটি অঙ্গ সর্বক্ষণ কোনও না কোনও কাজে ব্যস্ত থাকে৷ পায়ে রাজ্যের ধুলোময়লা লাগে সারাদিন। তা পরিষ্কার করার জন্য অনেকেই সাবানের ব্যবহার করেন। কিন্তু, তারপর কেউ ক্রিম ব্যবহার করেন না। যার ফলে ত্বক আর্দ্রতা হারাতে শুরু করে। গোড়ালির চামড়া রুক্ষ ও খড়খড়ে হতে থাকে, মোটা চামড়া ফাটে। এই পা ফাটার সমস্যা দীর্ঘ সময় থাকলে, এটি ত্বকের সমস্যার লক্ষণও হতে পারে। তবে পার্লারে গিয়ে নয় বাড়িতে বসে ঘরোয়া পদ্ধতিতেই এগুলির প্রতিকার পেতে পারেন।
বাড়িতে পাতা দইয়ের ল্যাকটিক অ্যাসিড ফিরিয়ে আনবে আপনার ত্বকের হারিয়ে যাওয়া আর্দ্রতা৷ সঙ্গে মিশিয়ে নিন এক বড়ো চামচ মধু ১০-১৫ মিনিট সময় পর্যন্ত রেখে দিন, তারপর সামান্য গরম জলে ধুয়ে কোনও ময়েশ্চরাইজার লাগান৷
অলিভ অয়েল ত্বকে আর্দ্রতা জোগায়, চিনি কাজ করে স্ক্রাবার হিসেবে৷ দুই বড়ো চামচ অলিভ অয়েল ও চিনি মিশিয়ে নিন৷ তারপর বেশ করে ঘষে ঘষে লাগান হাতে ও পায়ে৷ ১৫ মিনিট পর তেলটা টেনে যাবে৷ তখন ধুয়ে ভালো করে ক্রিম লাগিয়ে নিন৷ দিনে দুই থেকে তিনবার এমনটা করতে পারেন৷
তাজা অ্যালো ভেরা জেল আর কয়েক ফোঁটা ভিটামিন ই তেল একসঙ্গে মিশিয়ে নিয়ে পায়ে লাগান৷ ১৫ মিনিট পর ধুয়ে পেট্রোলিয়াম জেলি লাগিয়ে নিন৷
পাকা কলা, মধু আর অলিভ অয়েল একসঙ্গে মিশিয়ে নিন৷ ৫-৭ মিনিট ম্যাসাজ করুন হাতে৷ অল্প গরম জলে ধুয়ে নিন এবং লাগিয়ে নিন ময়েশ্চরাইজার।
এই সমস্যা খুব বেড়ে গেলে তা থেকে রক্তপাত ও খুব ব্যথা হয়। বাড়াবাড়ি হলে হয় ইনফেকশন। বিশেষজ্ঞদের মতে, ক্লিন্সিং, স্ক্রাবিং অ্যান্ড ময়েশ্চারাইজিং- এই পদ্ধতিতে পায়ের পরিচর্চা অত্যন্ত জরুরি। গরম জলে ভাল করে পা পরিষ্কার করতে হবে। স্ক্রাব করতে পিউমিস স্টোন ব্যবহার করে গোড়ালি পরিষ্কার রাখুন। তার পর ভাল ময়েশ্চারাইজিং ক্রিম বা পেট্রোলিয়াম জেলি লাগান। মোজা ও চটি পরে থাকুন। তাও সমস্যা নিয়ন্ত্রণে না এলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।