গাটের ব্যথা থেকে পা ফুলে যাওয়াই নয়, এই লক্ষণগুলো জানান দেবে আপনার ইউরিক অ্যাসিড বেড়েছে

 শরীরে ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে গেলে তা শরীরের জন্য ক্ষতিকর। অনেকেই এই ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে যাওয়া নিয়ে সচেতন থাকেন না। আর তখনই সমস্যা আরও বাড়ে। চিকিৎসকদের মতে, শরীরে ইউরিক অ্যাসিড বাড়লে কিছু উপশম দেখা যায়। যেমন পা ফুলে যাওয়া, গাটের ব্যথা, পায়ের পাতা ফুলে যাওয়া। তবে এবার শুধু এই উপশমই নয়, বরং ইউরিক অ্যাসিড বাড়লে প্রস্রাবে সময় জ্বালা, প্রস্রাবে রক্ত, মাথা ঘোরা, বমিভাবও দেখা যায়। শুধু তাই নয়,ইউরিক অ্যাসিড বাড়লে কিডনির উপর প্রভাব বেশি পড়ে। 

Riya Das | Published : Aug 8, 2022 9:10 AM IST / Updated: Aug 08 2022, 02:45 PM IST

উচ্চ রক্তচাপ, সুগারের পাশাপাশি শরীরে থাবা বসাচ্ছে ইউরিক অ্যাসিড। আর এর জন্য বেশিরভাগটাই দায়ি আমরা নিজেরাই। মূলত অনাভ্যাসের কারণ, অনিয়মিত জীবনযাত্রাই দায়ী এর পিছনে।  শরীরে ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে গেলে তা শরীরের জন্য ক্ষতিকর। অনেকেই এই ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে যাওয়া নিয়ে সচেতন থাকেন না। আর তখনই সমস্যা আরও বাড়ে। চিকিৎসকদের মতে, শরীরে ইউরিক অ্যাসিড বাড়লে কিছু উপশম দেখা যায়। যেমন পা ফুলে যাওয়া, গাটের ব্যথা, পায়ের পাতা ফুলে যাওয়া। তবে এবার শুধু এই উপশমই নয়, বরং ইউরিক অ্যাসিড বাড়লে প্রস্রাবে সময় জ্বালা, প্রস্রাবে রক্ত, মাথা ঘোরা, বমিভাবও দেখা যায়। শুধু তাই নয়,ইউরিক অ্যাসিড বাড়লে কিডনির উপর প্রভাব বেশি পড়ে। 

ব্যথার যেন কোনও বয়স লাগে না। হাঁটুতে ব্যথা থেকে কোমরে ব্যথা। ব্যথায় জর্জরিত ছোট থেকে বড়রা। তবে ব্য়থার অনেক রকম আলাদা ধরণ রয়েছে। যেমন কিছু ক্ষেত্রে তা যেমন জেনেটিক হতে পারে আবার কিছু ক্ষেত্রে ভুল খাবার খাওয়ার জন্যও শরীরে বাড়তে পারে ইউরিক অ্যাসিড। আবার কারও কারও ক্ষেত্রে বিষয়টি একেবারে উল্টো। যাদের জিনগত সমস্যা রয়েছে তারাও এই রোগে ভুগতে পারেন। কিন্তু এই রোগ থেকে নিজেকে সুস্থ রাখতে গেলে কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে, যার ফলে শরীরে ইউরিক অ্যাসিড বাড়তে পারবে না। প্রতিদিনের খাদ্যতালিকা থেকে তেল মশলাকে দূরে রাখুন। অতিরিক্ত মাত্রায় তেল মশলা এই রোগের জন্য ক্ষতিকারক। যতটা পারবেন হালকা খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন। এছাড়াও বড় মাছ, রেড মিট, চর্বি জাতীয় খাবার যতটা পারবেন এড়িয়ে চলুন। ডিম, সামুদ্রিক মাছ একদম খাবেন না। যারা অ্য়ালকোহলিক তারা খুব শীঘ্রই এটা বন্ধ  করুন। এতে ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। 

 

 

শরীরে কোনওরকম ব্যথা অনুভব করলেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। আর যাদের ইউরিক অ্যাসিড রয়েছে তারা প্রতি একমাস  অন্তর চেকআপ করিয়ে নিন। ডাক্তারের পরামর্শ না নিয়ে কোনও ওষুধ না খাওয়াই শরীরের পক্ষে ভাল। প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় অবশ্যই রাখুন ভিটামিন সি। ইউরিক অ্য়াসিডের অব্য়র্থ ওষুধ হিসেবে কাজ করে এই ভিটামিন সি। খাওয়ার পরে প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় ভিটামিন সি যুক্ত ফল খান। বাজার চলতি জুস, কোল্ড ড্রিঙ্ক যতটা পারবেন এড়িয়ে চলুন। ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা যাদের বেশি তারা খাদ্য তালিকায় অ্য়াপেল সিডার ভিনিগার রাখুন। এক গ্লাস জলের মধ্যে অ্য়াপেল সিডার ভিনিগার ১ চা চামচ মিশিয়ে দিনে অন্তত ২-৩ বার এই মিশ্রণ পান করুন। লো ক্যালোরি যুক্ত খাবার ইউরিক অ্য়াসিডের জন্য় উপকারী। ফ্য়াট ফ্রি দুধ খেতে পারেন। এছাড়াও শাক সব্জি, পিনাট বাটার বেশি পরিমানে খান। দুধ চা, কফির বদলে চিনি ছাড়া ব্ল্য়াক কফিও খেতে পারেন। শরীর সুস্থ রাখতে গেলে সবার আগে বশে রাখতে হবে নিজের ওজনকে। রক্তচাপ, কোলেস্টেরল বেশি মাত্রায় থাকলেই ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এছাড়া আমরা প্রত্যেকেই জানি শরীরচর্চা করা শরীরের জন্য কতটা উপকারী। সুতরাং আর দেরি না করে সকালে বা সন্ধ্যায় নিয়মিত করুন যোগাভ্যাস। চাইলে আধ ঘন্টা করে হাঁটতেও পারেন।

Share this article
click me!