সন্দীপ মজুমদার, হাওড়া: আমফানের ত্রাণ বিলিতে দুর্নীতিতে এবার কড়া পদক্ষেপ করল তৃণমূল। অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার পর সরাসরি দল থেকে বহিষ্কার করা হল হাওড়া তিনজন নেতাকে। বহিষ্কৃতদের অবিলম্বে পদ ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্যথায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী ও তৃণমূলের হাওড়া জেলা সভাপতি(সদর) অরূপ রায়।
আরও পড়ুন: আমফানে ক্ষতিপূরণ প্রাপকদের তালিকায় 'গরমিল', প্রধানের বিরুদ্ধে এফআইআর বিডিও-র
আমফানের ত্রাণ বিলিতে দুর্নীতির অভিযোগে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। ক্ষোভ বাড়ছে আমজনতার, বিক্ষোভ-অবরোধ চলছে রাজ্যের সর্বত্রই। ব্যতিক্রম নয় হাওড়াও। তৃণমূল পরিচালিত মাকড়দহ ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের বিরুদ্ধে ত্রাণ বন্টনে দুর্নীতি ও স্বজনপোষণের অভিযোগ উঠেছে। পঞ্চায়েত অফিসে ঘেরাও করে জুতো-লাঠি হাতে বিক্ষোভও দেখিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এরপরই নড়চড়ে বসে তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা নেতৃত্ব।
৩০ জুলাই ডোমজুড়ের মাকড়দহ ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান কাজল সর্দার, উত্তর ঝাপরদহ গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান সুভাষ পাত্র এবং গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ-প্রধানের স্বামী সুমন ঘোষাল, জগৎবল্লভপুরের পাঁতিহাল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান বেচারাম বসু, সাঁকরাইল পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি জয়ন্ত ঘোষকে শোকজ করার কথা জানিয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা হাওড়া জেলা সভাপতি(সদর) অরূপ রায়। যাঁদের শোকজ করা হয়েছে, তাঁদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে আমফানের ত্রাণ বিলি নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।
মন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেসের হাওড়া জেলা সভাপতি(সদর) অরূপ রায় জানিয়েছেন, সাঁকরাইল পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য জয়ন্ত ঘোষ, পাঁতিহাল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান বেচারাম দাস এবং উত্তর ঝাঁপরদহের পঞ্চায়েত উপ-প্রধানের স্বামী সুমন ঘোষালের বিরুদ্ধে দুর্নীতির প্রমাণ মিলেছে। তিনজনকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। এদিকে আবার আমফান দুর্নীতির অভিযোগে শোকজের মুখে পড়েছেন বড়গাছিয়া ২ নম্বর পঞ্চায়েতের প্রধান শবনম সুলতানা ও জগৎবল্লভপুর পঞ্চায়েতের উপপ্রধান শেখ নূর হোসেনকেও। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব, তাঁদের শোকজের জবাব দিতে বলা হয়েছে।