সন্দীপ মজুমদার, হাওড়া: একুশের বিধানসভা ভোটের আগে শুদ্ধিকরণ অভিযান! আমফান ত্রাণে দুর্নীতি নয়, দল বিরোধী কাজের অপরাধে এবার হাওড়ার এক নেতাকে বহিষ্কার করল তৃণমূল। শাস্তির মেয়াদ পাঁচ বছর।
বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতার নাম স্বপন কুমার পোড়েল। যখন হাওড়ার উদয়নারায়ণপুরের বালিচক অঞ্চল কমিটির সভাপতি ছিলেন, তখন বালি পাচার, তোলাবাজি-সহ একাধিক অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। সতর্ক করাই শুধু নয়, অঞ্চল সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে স্বপনকে স্থানীয় স্টিয়ারিং কমিটি সদস্য করা হয়। কিন্তু তাতেও কোনও লাভ হয়নি। উল্টে দলেরই পুরনো কর্মীদের সঙ্গে মারধর ও লুটপাটের ঘটনায় নাম জড়ায় তৃণমূল নেতার।
১৮ জুলাই হাওড়ার আমতার বাগুয়া বাজারে প্রকাশ্য দিবালোকে আক্রান্ত হন তৃণমূলের কয়েক নেতা ও কর্মী। তাঁদের ধারালো অস্ত্র দিয়ে প্রাণ মেরে ফেলার চেষ্টা করা হয় অভিযোগ। সেই ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে এখনও হাসপাতালে ভর্তি চারজন। শাসকদলেরই নেতা স্বপন কুমার পোড়েলের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ে করা হয় আমতা থানায়। বারবার তল্লাশি চালিয়েও কিন্তু অভিযুক্ত ধরতে পারেনি পুলিশ। এরপরই নড়েচড়ে বসে তৃণমূল কংগ্রেসে স্থানীয় নেতৃত্ব।
আরও পড়ুন: লকডাউন ভেঙে জেলাশাসককে ডেপুটেশন, বীরভূমে গ্রেফতার বিধায়ক
শনিবার উদয়নারায়ণপুর বিধানসভাকেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেসের কোর কমিটি বৈঠক হয়। বৈঠকে সর্বসম্মতিক্রমে অভিযুক্ত স্বপন পোড়লকে পাঁচ বছরের জন্য দল থেকে বহিষ্কার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বহিষ্কৃত নেতার ঠিকানায় চিঠিও পাঠিয়ে দিয়েছেন কোর কমিটির চেয়ারম্যান তথা স্থানীয় বিধায়ক সমীরকুমা পাঁজা। তিনি বলেন, দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শ-নিষ্ঠা ও সততায় বিশ্বাসী। তৃণমূল কংগ্রেসে দুর্নীতি ও দুর্নীতিপরায়ণ ব্যক্তিদের কোনও স্থান নেই। বহুবার সতর্ক করা সত্ত্বেও স্বপনকুমার পোড়েল নিজেকে বদলাননি। তাই তাঁকে বহিষ্কার করা ছাড়া আর কোনও উপায় ছিল না।