বিবাহ-বর্হিভূত সম্পর্কে 'টানাপোড়েন', প্রেমিকার বাড়িতে এসে খুন পরিবহণ ব্যবসায়ী

  • বিবাহ-বর্হিভূত সম্পর্কের নির্মম পরিণতি
  • প্রেমিকার বাড়িতে এসে খুন পরিবহণ ব্যবসায়ী
  • ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে হাওড়ার ফজিরবাজারে
  • তদন্তে পুলিশ

Asianet News Bangla | Published : Jun 27, 2020 7:13 AM IST

সন্দীপ মজুমদার, হাওড়া: বিবাহ-বর্হিভূত সম্পর্কে টানাপোড়েনের জেরেই কি ঘটল বিপত্তি? প্রেমিকার বাড়িতে গিয়ে খুন হয়ে গেলেন এক ব্যবসায়ী। গুরুতর আহত হয়েছেন ওই মহিলাও। ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার ফজিরবাজার এলাকায়। 

আরও পড়ুন: সল্টলেকে বৌ-এর হাতে বেধড়ক মার-সিগারেটের ছ্যাঁকা, যন্ত্রনায় ছটফট অবস্থায় থানায় গেলেন স্বামী

হাওড়ার ফজিরবাজার এলাকার জেলেপাড়ায় থাকেন কবিতা ডুব। স্বামী ও দুই সন্তানকে নিয়ে ভরা সংসার তাঁর। বছর দুয়েক আগে এক যুবকের সঙ্গে বিবাহ বর্হিভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন ওই গৃহবধূ। প্রেমিক আশিস কুমার সিং-র বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগণার জিনজিরা বাজারে। পেশায় তিনি পরিবহণ ব্যবসায়ী। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, অন্য শিল্পীদের নিয়ে দল তৈরি করে বিভিন্ন জায়গায় ভজনের অনুষ্ঠান করেন কবিতা। সেই সূত্রে আশিসের সঙ্গে পরিচয় হয় তাঁর। সোশ্যাল মিডিয়ায় কথাবার্তা তো চলতই, ওই গৃহবধুর বাড়িতেও যাতায়াত ছিল তাঁর প্রেমিকের।

জানা গিয়েছে, শুক্রবার সকালে যখন কবিতার সঙ্গে দেখা করতে তাঁর বাড়িতে আসেন আশিস, তখন আচমকাই দু'জনের মধ্যে বচসা শুরু হয়ে যায়। এরপর কবিতা একটি বড় কাঁচি দিয়ে প্রেমিকের পেটে আঘাত করেন বলে অভিযোগ। রক্তাক্ত অবস্থায় বিছানায় লুটিয়ে পড়েন আশিষ। ধস্তাধস্তির সময়ে অভিযুক্ত মহিলা নিজেও আহত হন। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, চিৎকার শুনে বাড়িতে গিয়ে কবিতা, তাঁর ছোট ছেলে ও আশিসকে দেখতে পান তাঁরা। ওই গৃহবূধ ও তাঁর প্রেমিককে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় হাওড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে। হাসপাতালে আশিসকে মৃত বলে ঘোষণা করে চিকিৎসকরা। তাঁর প্রেমিকা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। 

আরও পড়ুন: বাগনানকাণ্ডের জের, এবার স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যাকেও বহিষ্কার করল তৃণমূল

হাওড়া থানায় বাবা-কে খুনের অভিযোগে এফআইআর করেছেন মৃতের ছেলে। কবিতা ডুব ও তাঁর ছোট ছেলেকে আটক করেছে পুলিশ। স্থানীয় বাসিন্দাদের অনুমান, বিবাহ-বর্হিভূত সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চাইছিলেন কবিতা। তা নিয়ে আশিসের সঙ্গে গন্ডগোল চলছিলও তার। সেই কারণে এমন ঘটনা ঘটেছে।

Share this article
click me!