করোনা মোকাবিলায় যুদ্ধকালীন তৎপরতা, ইন্ডোর স্টেডিয়ামে তৈরি হচ্ছে আইসোলেশন ওয়ার্ড

  • করোনা মোকাবিলায় তৎপরতা তুঙ্গে
  • স্টেডিয়ামে আইসোলেশন ওয়ার্ড তৈরির নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর
  • যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে কাজ
  • আসরে পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের আধিকারিকরা

Tanumoy Ghoshal | Published : Mar 20, 2020 9:30 AM IST / Updated: Mar 20 2020, 03:03 PM IST

রাজ্যে করোনা সংক্রমণ রুখতে সতর্ক প্রশাসন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে জোরদকমে আইসোলেশন ওয়ার্ড তৈরি কাজ চলছে হাওড়ার ডুমুরজলা স্টেডিয়ামে। পুরসভার সূত্রে খবর, এই আইসোলেশন ওয়ার্ডে প্রাথমিকভাবে ১১০টি শয্যা থাকবে। তবে যদি প্রয়োজন হয়, সেক্ষেত্রে শয্যায় সংখ্যা বাড়িয়ে ৪০০টি করা হতে পারে। 

আরও পড়ুন: করোনা আতঙ্কের মাঝেই বিদেশ সফর, মালয়েশিয়ায় আটকে পড়েছে শ্রীরামপুরের দুটি পরিবার

ব্যবধান মোটে চারদিনের। কলকাতায় আরও করোনা আক্রান্তের হদিশ মিলেছে। আমলা পুত্রের পর এবার সংক্রমিত হয়েছেন বালিগঞ্জের এক তরুণ। বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ভর্তি তিনি। জানা গিয়েছে, ১৩ মার্চ লন্ডন থেকে দিল্লি হয়ে কলকাতায় আসেন করোনা আক্রান্ত ওই তরুণ। দিন তিনেক পর শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। বিলেত ফেরত ওই যুবক বাড়িতে আলাদা থাকছিলেন। বৃহস্পতিবার তাঁকে ভর্তি করা হয় বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে। শুক্রবার সকালে স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপোর্টে জানা যায়, ওই তরুণ করোনা আক্রান্ত!

এদিকে বৃহস্পতিবারই আবার করোনা পরিস্থিতি নিয়ে নবান্নে ফের জরুরি বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠকে ডাকা হয় সরকারি হাসপাতালের প্রতিনিধিদেরও। বেলেঘাটা আইডি-তে শয্যা সংখ্যা বাড়ানোই শুধু নয়, বৈঠক শেষে কলকাতার আরও বেশ কয়েকটি হাসপাতালে আইসোলেশন ওয়ার্ড চালু করার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই তালিকায় ছিল হাওড়ার ডুমুরজলা স্টেডিয়ামও। এরপর তড়িঘড়ি কাজ শুরু করে দেন হাওড়ার পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের আধিকারিকরা। 

আরও পড়ুন: দ্বিতীয় করোনা আক্রান্তও শহরে ঘুরলেন বেপরোয়াভাবে, আতঙ্কে কাঁটা কলকাতাবাসী

জানা গিয়েছে, হাওড়ার ডুমুরজলা ইন্ডোর স্টেডিয়ামটি কার্যত অব্যবহৃত অবস্থাতেই পড়ে রয়েছে। স্টেডিয়ামের ড্রেসিংরুমগুলিকে আইসোলেশন ওয়ার্ডে পরিণত করার কাজ চলছে। ড্রেসিংরুমগুলি তো বটেই, কাজ শুরুর আগে গোটা স্টেডিয়াম চত্বরই কীটনাশক দিয়ে পরিষ্কার করা হয়। ব্যবহারের উপযোগী করা তোলা হয় শৌচালয়গুলিকে, স্টেডিয়ামের সর্বত্রই পর্যাপ্ত পানীয় জলেরও ব্যবস্থা করেছেন পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের আধিকারিকরা। 

Share this article
click me!