সংক্ষিপ্ত
- করোনা আতঙ্কের মাঝে বিদেশ ভ্রমণ
- মালয়েশিয়ায় আটকে শ্রীরামপুরের দুটি পরিবার
- ভারতীয় দূতাবাস থেকে সাহায্য় মেলেনি বলে অভিযোগ
- মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সাহায্যের আর্জি পর্যটকদের
করোনা আতঙ্কে মাঝেই সপরিবারে বিদেশে বেড়াতে গিয়েছিলেন দুই বন্ধু। কিন্তু এখন আর দেশে ফিরতে পারছেন না তাঁরা! দুই নাবালিকা-সহ মালয়েশিয়ায় আটকে পড়েছে হুগলির শ্রীরামপুরের দুটি পরিবার। কুয়ালালামপুরে ভারতীয় দুতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করেও সমস্যার সুরাহা হয়নি বলে অভিযোগ। ভিডিও কল মারফৎ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে তাদের দেশের ফেরানোর ব্যবস্থা করার আর্জি জানিয়েছেন পর্যটকরা।
আরও পড়ুন: বাড়িতে শ্বাসকষ্টের রোগী, দ্বিতীয় করোনা আক্রান্তের দিদাও ভর্তি হাসপাতালে
শ্রীরামপুরের ইএসআই হাসপাতাল লাগোয়া কোয়ার্টারে থাকেন রবি রায়। তাঁর বন্ধু রামু থাপা শ্রীরামপুরেরই অমূল্যকানন এলাকার বাসিন্দা। পরিবারের লোকেরা জানিয়েছেন, ১৪ মার্চ স্থানীয় একটি ট্রাভেল এজেন্সির মাধ্যমে মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরে বেড়াতে যান রবি ও রামু। নাবালক সন্তানদের নিয়ে সঙ্গে গিয়েছেন তাঁদের স্ত্রীয়েরাও। ১৫ ও ১৬ মার্চ সিঙ্গাপুরে ছিলেন, মালয়েশিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেন ১৭ মার্চ। বিকেলে কুয়ালামপুরে পৌঁছান তাঁরা। বুধবার দেশে ফেরার টিকিটও কাটা ছিল। কিন্তু হলে কী হবে! করোনা আতঙ্কে এখন তো মালয়েশিয়া আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা বন্ধ। ফলে বাড়ি ফিরতে পারছেন না শ্রীরামপুরের রবি রায়, রামু থাপা ও তাঁদের পরিবারের সদস্যরা। হোটেলে বন্দি সকলেই।
আরও পড়ুন: 'করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়বে', মতুয়া মেলা বন্ধের নির্দেশ হাইকোর্ট
এদিকে করোনা আতঙ্কে কুয়ালালামপুরে রাস্তাঘাট ফাঁকা, খুব প্রয়োজন :ছাড়া বাইরে বেরোচ্ছেন না কেউ। খাবারের দাম বেড়ে গিয়েছে অস্বাভাবিক হারে। তাতে সমস্যা আরও বেড়েছে। ভিডিও কলে রবি রায়ের স্ত্রী সুস্মিতা জানিয়েছেন, বুধবার রাতে ভারতীয় মুদ্রায় পাঁচ হাজার টাকা দিয়ে ভাত, রুটি ও নিরামিষ তরকারি কিনে খেতে হয়েছেন তাঁদের। এভাবে আর কতদিন চলবে! উদ্বেগে বাড়ির লোকেরা।