সন্দীপ মজুমদার, হাওড়া: হাতি নয়, এবার খাবারের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে মেরে ফেলা হল গর্ভবতী বাঘরোলকে! কেরলকাণ্ডের ছায়া এ রাজ্যেও। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে হাওড়ার আমতায়। পশুর দেহটি ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে বনদপ্তর। রিপোর্ট পাওয়ার পর বাঘরোল হত্যায় এফআইআর দায়ের করা হতে পারে।
আরও পড়ুন: করোনা মোকাবিলায় পিপিই মডেলে ইতি, সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল অধিগ্রহণ করল সরকার
ঘটনার সূত্রপাত বৃহস্পতিবার। আমতার উদং গ্রামে জলাভূমির ধারে একটি পূর্ণবয়ষ্ক এবং গর্ভবতী বাঘরোলকে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ, পরিকল্পনামাফিক খাবারের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে হত্যা করা হয়েছে বিলুপ্তপ্রায় প্রাণীটিকে। শুধু তাই নয়, মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য মাথায় ভারী কিছু দিয়ে আঘাতও করা হয়ে থাকতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে। খবর পেয়ে বাঘরোলের দেহটি উদ্ধার করেন বনকর্মীরা। ময়নাতদন্তের জন্য দেহটি পাঠানো হয়েছে কলকাতার বেলগাছিয়া পশু হাসপাতালে। ঘটনায় দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থার নেওয়ার দাবি তুলেছেন সকলেই। তাঁদের অভিযোগ, এর আগে আমতায় উদং গ্রামে বাঘরোলকে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়।
আরও পড়ুন: গুড়াপের কারখানায় দুর্ঘটনা, বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে প্রাণ গেল কলেজ পড়ুয়ার
উল্লেখ্য, এ রাজ্যে বাঘরোলকে জাতীয় পশুর স্বীকৃতি দিয়েছে সরকার। বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে বাঘরোল সিডিউল 'এ'-এর অন্তর্ভুক্ত। ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অফ নেচারের রেড তালিকায়ও স্থান পেয়েছে বিলুপ্তপ্রায় এই প্রাণীটি। হাওড়ার আমতা, উদয়নারায়ণপুর-সহ বিভিন্ন জায়গায় ঝোপ-ঝাড় ও জলাভূমিতে বাঘরোলের সংখ্যা কম নয়। প্রাণীটিকে সংরক্ষণে জন্য় এলাকায় প্রচারও চালায় বনদপ্তর। কিন্তু তাতে বাঘরোল হত্যা আটকানো যাচ্ছে না। উদ্বেগ বাড়ছে পশুপ্রেমীদের।