করোনা মোকাবিলায় পিপিই মডেলে ইতি, সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল অধিগ্রহণ করল সরকার

  • করোনা মোকাবিলায় পদক্ষেপ
  • পিপিই মডেলে ইতি টানল রাজ্য সরকার
  • সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল অধিগ্রহণ স্বাস্থ্য দপ্তর
  • কোভিড হাসপাতালে চালু হচ্ছে শালবনিতে
     

Asianet News Bangla | Published : Jun 17, 2020 8:07 AM IST / Updated: Jun 17 2020, 01:40 PM IST

শাহাজাহান আলি, মেদিনীপুর: পিপিই মডেল আর নয়, করোনা মোকাবিলায় এবার সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল অধিগ্রহণ করল সরকার। আরও একটি কোভিড হাসপাতাল চালু হতে চলেছে পশ্চিম মেদিনীপুরে। হাসপাতালে পরিষেবা দেবেন সরকারি চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা। চাকরি বহাল থাকবে বেসরকারি সংস্থা নিযুক্ত বাছাই করা কর্মীদেরও।

আরও পড়ুন: অমানবিক, করোনা আতঙ্কে বৃদ্ধকে 'রাস্তায় ফেলে' দিলেন স্বাস্থ্যকর্মীরা

গত কয়েক বছরে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল তৈরি করেছে সরকার। বাদ যায়নি পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনিও। দু'বছর ধরে শালবনি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল চলছে পিপিই মডেলে। সরকারি পরিকাঠামো ও ওষুধ ব্যবহার করে রোগীদের পরিষেবা দিচ্ছে জিন্দাল গোষ্ঠী। চিকিৎসক, নার্স-সহ স্বাস্থ্যকর্মীদেরও নিয়োগ করেছে ওই বেসরকারি সংস্থাটি। কিন্তু ঘটনা হল হাসপাতাল পরিচালনার ক্ষেত্রে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। দিন কয়েক আগে বকেয়া বেতনের দাবিতে বিক্ষোভও দেখিয়েছেন চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা। এই পরিস্থিতিতে শালবনি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে পরিচালনার ক্ষেত্রে অপারগতা কথা জানিয়ে জিন্দাল গোষ্ঠীর তরফে জেলাশাসককে চিঠি দেওয়া হয় বলে জানা গিয়েছে। 

আরও পড়ুন: নবদম্পতির বিচ্ছেদ ঘটাল করোনাভাইরাস, হাসপাতালে 'পুনর্মিলন' স্বামী-স্ত্রীর

এদিকে আবার যতদিন যাচ্ছে, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়ছে। রোগীদের চাপ এতটাই যে, দুটি হাসপাতাল তৈরি করেও পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যাচ্ছে না! তাহলে উপায়? শালবনি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালটিকে অধিগ্রহণ করে কোভিড হাসপাতালে রূপান্তরিত করার সিদ্ধান্ত নেয় স্বাস্থ্য দপ্তর। প্রস্তুতি চলছিল জোরকদমে। প্রশাসন সূত্রে খবর, শুক্রবার থেকে পিপিই মডেলে চলা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল পরিচালনার দায়িত্ব নিয়েছে স্বাস্থ্য দপ্তর। সাধারণ রোগীদের নয়, শুধুমাত্র করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা হবে হাসপাতালে, শয্যা থাকবে দেড়শোটি। জিন্দাল গোষ্ঠীর চুক্তি হওয়ার আগে ২০১৭ সালে যেসব চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের নিয়োগ করেছিল সরকার, তালিকা ধরে তাঁদের সকলকেই ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। তবে জিন্দালদের আমলে যাঁরা চাকরি পেয়েছেন, তাঁদের ছাঁটাই করা হবে না। বরং যোগ্যতা ভিত্তিতে তাঁদের চাকরি বহাল রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, এর আগে করোনা আক্রান্তের চিকিৎসার জন্য কার্যত রাতারাতি মেদিনীপুর শহরের দুই প্রান্তে দুটি কোভিড হাসপাতাল তৈরি করে প্রশাসন। এবার সেই তালিকায় জুড়তে চলেছে শালবনিও।

Share this article
click me!