প্রশাসনের মানবিক মুখ, মুমূর্ষ রোগীকে ওষুধ এনে দিলেন খোদ জয়েন্ট বিডিও

  • মুমূর্ষ রোগীর পাশে প্রশাসন
  • কলকাতা থেকে ওষুধ এনে দিলেন জয়েন্ট বিডিও
  • নেপথ্যে থাকলেন বিডিও
  • মানবিকতার সাক্ষী হাওড়ার বাগনান 
     

Asianet News Bangla | Published : Jun 20, 2020 3:28 PM IST / Updated: Jun 20 2020, 10:46 PM IST

সন্দীপ মজুমদার, হাওড়া: পরিচয় গোপন রেখে দোকানের সামনে লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন ঘণ্টা দুয়েক। নিজে কলকাতায় গিয়ে মুমূর্ষু রোগীর জন্য় ওষুধ এনে দিলেন খোদ জয়েন্ট বিডিও! শুনতে অবিশ্বাস্য লাগলেও এমনই ঘটনা ঘটেছে হাওড়ার বাগনানে। 

আরও পড়ুন: এবার খুলছে তারাপীঠ মন্দিরও, বাইরে থেকে বিগ্রহ দর্শন করতে হবে ভক্তদের

রোগীর বাড়ি বাগনানের পূর্ণাল গ্রামে। দীর্ঘদিন ধরে কিডনির অসুখে ভুগছেন তিনি। এতটাই অসুস্থ যে, বিছানা থেকে উঠতে পারেন না। দিন কাটে ওষুধের ভরসায়। কিন্তু ঘটনা হল, তাঁর একটি ওষুধ এলাকার কোথাও পাওয়া যাচ্ছিল না। পরিবারের আর্থিক অবস্থাও একেবারেই ভালো নয়। কাউকে দিয়ে যে ওষুধ আনিয়ে নেবেন, তেমন সামর্থ্যও নেই। তাহলে উপায়? নম্বর জোগাড় করে নিজেই ফোনে  বাগনান-১ নম্বর ব্লকের বিডিও সত্যজিৎ বিশ্বাসকে ঘটনাটি জানান পূর্ণাল গ্রামের বাসিন্দা ওই ব্যক্তি। আর দেরি করেননি, ব্লকের ওসি হেলথের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক, জয়েন্ট বিডিও সন্দীপ দাসকে বিষয়টি দেখতে বলেন সত্যজিৎবাবু।

খোঁজ খবর নিয়ে জানা যায়, একমাত্র কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে ন্যায্যামূল্যের দোকানেই ওষুধটি পাওয়া যেতে পারে। এদিকে ততদিনে রোগীর অবস্থায় রীতিমতো গুরুতর। আর কালবিলম্ব না করে জয়েন্ট বিডিও সন্দীপ দাস নিজেই কলকাতায় রওনা হয়ে যান। সেদিন আবার এসএসকেএম হাসপাতালে এক চিকিৎসকের করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে। কিন্তু সে সবের পরোয়া না করে ওষুধের দোকানের সামনে লাইনে দাঁড়িয়ে পড়েন জয়েন্ট বিডিও। চাইলে কিন্তু তিনি নিজের পরিচয় দিয়ে সরাসরি কাউন্টার থেকেও ওষুধটি নিতে পারতেন। এভাবেই কেটে যায় প্রায় দু'ঘণ্টা। শেষপর্যন্ত ওষুধ নিয়ে ফেরেন বাগনানে। এরপর ওষুধ পৌঁছে দেওয়া হয় কিডনির অসুখে আক্রান্ত ব্য়ক্তির বাড়িতে। 

আরও পড়ুন: ৫০ শতাংশ ফি কমানোর দাবিতে বিক্ষোভ, প্রতিবাদে সামিল অশোক হল গার্লস স্কুলের অভিভাবকরাও

বিডিও বা জয়েন্ট বিডিও, কেউ কিন্তু ঘটনাটি প্রকাশ্যে আনতে চাননি। বরং বিডিও অফিসের কর্মীদের মারফৎ খবর ছড়িয়েছে এলাকায়। প্রশাসনের মানবিক ভূমিকাকে সাধুবাদ জানিয়েছে স্থানীয় বাসিন্দারা।  বাগনান কলেজের অধ্যাপক আক্রামূল হক বলেন, 'এই ধরণের মানুষ আছেন, বলে পৃথিবীটা এখনও সুন্দর। এনারাই সমাজের অলঙ্কার।'

Share this article
click me!