১৯৪৭ থেকে ২০২২, ৭৫ বছরে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে নজরকাড়া উন্নতি ভারতের

স্বাধীনতার পর থেকে অর্থনীতি, শিক্ষা, প্রযুক্তি, বিজ্ঞান এবং সর্বপোরি স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে ভারতের উন্নতি চোখে পড়ার মতো। দুশো বছরের পরাধিনতার থেকে মুক্তি পেয়ে একটি সদ্য স্বাধীন রাষ্ট্র থেকে পরবর্তী ৭৫ বছরে ভারতের উন্নতি চোখে পড়ার মতো। বিশেষত স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে উন্নতির জন্য ভারত সরকারের একের পর এক অভাবনীয় পদক্ষেপ আজ ভারতের স্বাস্থ্য কাঠামোকে এই জায়গায় নিয়ে এসেছে।

আগামী ১৫ অগাস্ট দেশ জুড়ে পালিত হবে ৭৫তম স্বাধীনতা দিবস। প্রত্যেক ভারতীয়র গর্বের দিন, দুশো বছরের দাসত্ব থেকে মুক্তির দিন, যুদ্ধ জয়ের দিন। তবে যদি ইতিহাসের পাতা উলটে একবার ফিরে দেখা যায় ১৯৪৭-এর ভারত এবং ২০২২-এর ভারত তাহলে এই একটা দেশের বিবর্তন স্পষ্ট বোঝা যায়। ৭৫ বছরে ভারতের সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক বিবর্তন সত্যিই চোখে পড়ার মতো। 
স্বাধীনতার পর থেকে অর্থনীতি, শিক্ষা, প্রযুক্তি, বিজ্ঞান এবং সর্বপোরি স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে ভারতের উন্নতি চোখে পড়ার মতো। দুশো বছরের পরাধিনতার থেকে মুক্তি পেয়ে একটি সদ্য স্বাধীন রাষ্ট্র থেকে পরবর্তী ৭৫ বছরে ভারতের উন্নতি চোখে পড়ার মতো। বিশেষত স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে উন্নতির জন্য ভারত সরকারের একের পর এক অভাবনীয় পদক্ষেপ আজ ভারতের স্বাস্থ্য কাঠামোকে এই জায়গায় নিয়ে এসেছে। স্বাধীনতা পরবর্তী সময় দেশের স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর উন্নতির জন্য জনস্বাস্থ্যের উন্নতিতে জোর দেওয়া। এক্ষেত্রে নানা জনস্বাস্থ্য উন্নয়নমূলক পরিকল্পনার ছাড়াও বেশকিছু  প্রাণঘাতী রোগকে দেশ থেকে নির্মূল করার লক্ষ্যে গৃহীত নানা প্রকল্প প্রশংসার দাবি রাখে। 
একনজরে দেখে নেওয়া যাক স্বাধীনতা পরবর্তী ৭৫ বছরে স্বাস্থ্যক্ষেত্রে ভারতের উন্নতির কিছু নিদর্শন....

আরও পড়ুনস্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত বিনামূল্যে দেশের এই ঐতিহাসিক স্থানগুলি ঘুরে দেখতে পারেন

Latest Videos

গড় আয়ু বৃদ্ধির ক্ষেত্রে উন্নতি: 
শেষ ৭৫ বছরে দেশের গড় আয়ু বৃদ্ধিতে বিপ্লব দেখা দেয়। স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা পরিকাঠামোর উন্নয়নের মাধ্যমে গড় আয়ু বৃদ্ধির হার একশো শতাংশরও বেশি। ১৯৪৭ সালে একজন ভারতীয় নাগরিকের গড় আয়ু ৩২ বছর ধরা হত, যা বর্তমানে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭০.১৯ বছরে। ইউনাইটেড নেশনের ওয়ার্ল্ড পপুলেশন পার্সপেকটিভের রিপোর্ট অনুযায়ী বিশ্বব্যাপী গড় আয়ু ৭০.৯৮ বছর। 

শিশু ও মাতৃত্বজনিত মৃত্যুহার হ্রাস:
ইউনাইটেড নেশনের সমীক্ষা অনুযায়ী ২০২২ সালে শিশু মৃত্যু হার প্রতি ১০০০ জলে ২৭.৬৯৫, যা ২০২১-এর শিশু মৃত্যু হারের থেকে ৩.৭৪ শতাংশ কম। অন্যদিকে ১৯৪০ সালে প্রতি ১ লাখে মাতৃত্বজনিত কারণে মৃত্যু হত ২০০০ জনের। ১৯৫০ সালে এই সংখ্যা নেমে আসে ১০০০-এ। 

ছোঁয়াচে রোগের সংক্রমণ রোধ: 
স্বাধীনতা পরবর্তী সময় সংক্রামক রোগের বৃদ্ধি রুখতে একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করে ভারত সরকার। ম্যালেরিয়া, টিউবারকুলোসিস, পোলিও, HIV, কলেরা ইত্যাদি সংক্রামক রোগকে নির্মূল করতে সরকারের নানা পাইলট প্রোজেক্টঁ সত্যিই প্রশংসনীয়। 

আরও পড়ুনদেশকে স্বাধীন করতে যিঁনি নিজের সর্বস্ব ত্যাগ করেছেন, স্বাধীনতার প্রাক্কালে এই মহামানবকে স্মরণ না করলেই নয়

স্বাস্থ্য বিষয়ক নীতি ও সরকারি পরিকল্পনা:
১৯৪৭ সাল থেকেই একটি সদ্য স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা পরিকাঠামোর উন্নতির জন্য একাধিক প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। শিশুদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ন্যাশানাল হেলথ মিশন ও ন্যাশানাল রুরাল হেলথ মিশন চালু করা হয়। গর্ভবতী মায়েদের সুরক্ষায় চালু করা হয় জননি সুরক্ষা যোজনা, প্রধানমন্ত্রী সুরক্ষীত মাতৃত্ব অভিযান ইত্যাদি। 
 

Read more Articles on
Share this article
click me!

Latest Videos

‘সবরমতি রিপোর্ট’ দেখলেন বিজেপির হেভিওয়েটরা! দেখুন কী বার্তা দিলেন সিনেমার ব্যপারে | Sabarmati Report
বাগদায় ফের চলল বুলডোজার! হাইকোর্টের নির্দেশে ভেঙ্গে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল ৬টি দোকান | Bagdah News
নার্স হেনস্থার ঘটনায় বড় পদক্ষেপ! হাসপাতাল চত্বরে কড়া সিসিটিভি নজরদারি | Birbhum News Today
টাকা 'হজম' করার আগেই ধরে ফেলে খেলা ঘুরিয়ে দিলেন শুভেন্দু অধিকারী | Suvendu Adhikari | Awas Yojana
Mamata Banerjee Live: নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলনে মমতা, দেখুন সরাসরি