জেলে শুধু পালং শাক খেয়ে দিন কাটাতেন! খাদ্যরসিক নেতাজি কী খেতে ভালবাসতেন, জানেন?
নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু, ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের এক চিরবিদ্রোহের নাম। গোটা বিশ্ব জুড়ে নেতাজি নামেই পরিচিত বাংলার বীরপুত্র সুভাষ। দেশের এই বীর সন্তান খেতে খুব ভালবাসতেন তিনি। তাঁর পছন্দের তালিকায় কী কী ছিল?
নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু, বাঙালির আবেগের এক অপর নাম। নেতাজি এই নাম শুনলে আজও বহু মানুষের মনে শিহরণ জাগে।
সেই নেতাজি কিন্তু খাদ্যরসিক ছিলেন। খেতে খুব ভালবাসতেন তিনি।
নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু অনেক জায়গায় তাঁর খাবারের কথা লিখেছিলেন।
বাঙালি হওয়ায় বাঙালি খাবারই ছিল তাঁর দুর্বলতা। তিনি ছানার তৈরি যে কোনও খাবার পছন্দ করতেন।
তবে স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় জেলে পরিবেশিত খাবারেই তাঁকে দীর্ঘদিন সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে।
নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু ১৯২৫ থেকে ১৯২৭ পর্যন্ত মায়ানমারের (বার্মা) মান্ডলা জেলে ছিলেন। তখন তিনি প্রায়ই বৌদি বিভাবতী বসুকে জেলের খাবারের কথা লিখতেন।
বৌদিকে বহু চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেছেন, জেলে ঠিকমতো ভাত বা খাবার পাওয়া যায় না। খাবারের মধ্যে পেঁপে, বেগুন ও পালংশাক খেয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়।
তিনি খিচুড়ির মতো খাবারও পছন্দ করতেন। আর প্রায়ই মুগ ডাল খেতেন। একবার তিনি জেলে পাওয়া চা সম্পর্কে তাঁর বড় ভাই শরৎচন্দ্র বসুকে একটি চিঠি লিখেছিলেন।
প্রেসিডেন্সি কলেজে পড়াকালীন পাশের আদর্শ হিন্দু হোটেল প্রতিদিন নিয়মকরে দুপুরবেলা খেতে যেতেন। তাঁর প্রিয় খাবারের তালিকায় ছিল পালংশাকের বাটি চচ্চড়ি, মুড়ি ঘণ্ট।
বাঙালির সঙ্গের চায়ের কেমিস্ট্রি বহু পুরনো। নেতাজিও কথায় কথায় চা খেতেন। আর মুখে থাকত সুপারির কুচো।
সুভাষ চন্দ্র বসু কিন্তু আদ্যপান্ত বাঙালি মেজাজের ছিলেন। পাড়ার তেলেভাজার দোকানে চপ মুড়ি, বেগুনি, পেঁয়াজি খেতে খেতেই জমে উঠত তাঁর তর্ক।