ভারতীয় সেনাবাহিনী মঙ্গলবার এক পাকিস্তানি জঙ্গিকে গুলি করে খতম করে। এই এনকাউন্টারে আরেক জঙ্গিকে পাকরাও করা হয়।
জম্মু ও কাশ্মীরের উরি সেক্টরে অভিযান চালাল ভারতীয় সেনা(Indian Army)। তল্লাশি অভিযানে বড়সড় সাফল্য। অভিযান চলাকালীন ভারতীয় সেনাবাহিনী মঙ্গলবার এক পাকিস্তানি জঙ্গিকে (one Pakistan-based terrorist) গুলি করে খতম করে। এই এনকাউন্টারে আরেক জঙ্গিকে পাকরাও (captured alive another) করা হয়। এই তথ্য পরে সাংবাদিকদের জানান ১৯ ইনফ্যান্টরি ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল বীরেন্দ্র ভাটস। তিনি বলেন, উরি সেক্টরে (Uri sector of Jammu and Kashmir) নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলওসি) বরাবর নয় দিনেরও বেশি সময় ধরে একটি অভিযান চালানো হয়েছিল। এই অভিযান ১৮ই সেপ্টেম্বর শুরু হয়েছিল।
মেজর জেনারেল ভাটস বলেন, যখন এনকাউন্টার হয়, তখন ভারতীয় সেনার কাছে দুই অনুপ্রবেশকারীর খবর ছিল। তবে আরও চারজন নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর ঘোরাফেরা করছে বলেও জানা গিয়েছিল। এই মর্মে খবর পেয়েই তল্লাশি জোরদার করে সেনা। এক পাক জঙ্গিকে যেমন ধরা সম্ভব হয়েছে, তেমনই প্রচুর অস্ত্র উদ্ধার করা গিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, উরি অভিযানে সাতটি একে সিরিজের আগ্নেয়াস্ত্র, ৯টি পিস্তল এবং রিভলবার উদ্ধার হয়েছে। এছাড়াও ৮০ টিরও বেশি গ্রেনেড এবং ভারতীয় ও পাকিস্তানি মুদ্রা উদ্ধার করা হয়েছে। যে জঙ্গিকে গ্রেফতার করা হয়েছে, সে লস্কর ই তইবা গোষ্ঠীর সদস্য বলে জানা গিয়েছে। তার বাড়ি পাকিস্তানের পঞ্জাবের ওখারাতে। নাম আলি বাবর পাত্র বলে সেনা জানতে পেরেছে। জম্মু ও কাশ্মীরের উরি সেক্টরে অভিযানের সময় নিরাপত্তা বাহিনীর সামনে ধরা পড়ে যায় সে।
আরও পড়ুন- বিজেপি নেতা খুনে জড়িত জঙ্গি খতম, ভারতীয় সেনার এনকাউন্টারে উদ্ধার প্রচুর অস্ত্র
আরও পড়ুন- অন্ধকারে ঢাকবে পৃথিবী, আকাশে উঠবে অদ্ভুত সবুজ আলো,সূর্য থেকে ধেয়ে আসছে জিওম্যাগনেটিক ঝড়
ভাটস আরও জানান যে, সালামাবাদ নালার এলাকায় এই অনুপ্রবেশের চেষ্টা করা হয়েছিল। এই অনুপ্রবেশকারীদের পাকিস্তানের দিক থেকে তিনজন পোর্টার পথ দেখিয়ে নিয়ে এসেছিল। এরাই সীমান্তে অস্ত্র সরবরাহে যুক্ত বলে মনে করা হয়। এদিকে, ভারতীয় সেনার দাবি সীমান্তে মোতায়েন পাকিস্তানি সেনার সক্রিয় সহযোগিতা ছাড়া অনুপ্রবেশ কোনওভাবেই সম্ভব নয়। আত্মসমর্পণ করা জঙ্গি স্বীকার করেছে তাদের প্রশিক্ষণ পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মুজফফরবাদে দেওয়া হয়েছিল। লস্করের সক্রিয় সদস্য সে।