পাকিস্তান থেকে এদেশে এসেছিলেন আশ্রয়ের খোঁজে, রহস্যজনক ভাবে উদ্ধার হল একই পরিবারের ১১ জন হিন্দুর দেহ

  • ১১ জন অভিবাসী হিন্দুর মৃত্যু ঘিরে শোরগোল রাজস্থানে
  • ভারতে আশ্রয়ের খোঁজে এসেছিল হিন্দু পরিবারটি
  • গ্রামে চাষবাসের কাজ করত পরিবারের সদস্যরা
  • তবে পরিবারের এক সদস্যকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা গেছে

Asianet News Bangla | Published : Aug 10, 2020 3:39 AM IST / Updated: Aug 10 2020, 09:14 AM IST

পাকিস্তান থেকে এসেছিলেন ভারতে আশ্রয় নিতে। কিন্তু সেই হিন্দু পরিবারের ১১ জন সদস্যের নিথর দেহ উদ্ধার হল। এই ঘটনায় স্বাভাবিক ভাবেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে। জানা যাচ্ছে, রাজস্থানের যোধপুরে ওই ১১ জনের দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

রবিবার সকালে যোধপুরের একটি ফার্ম হাউস থেকে হিন্দু অভিবাসী পরিবারের একের পর এক সদস্যের দেহ উদ্ধার হতে থাকে। তবে ওই পরিবারের এক সদস্যকেও জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা গিয়েছে।

আরও পড়ুন: বৃদ্ধ সাথে দম্পতির এক ছেলে শহিদ হয়েছিলেন জম্মুতে, আরেক ছেলে সহযাত্রীদের বাঁচাতে দিলেন নিজের প্রাণ

ওই জীবিত সদস্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই জানা গিয়েছে,  পাকিস্তান থেকে এসে রাজস্থানের দেচু এলাকার লড়তাগ্রামে বাস করছিলেন ওই হিন্দু অভিবাসী পরিবারটি। এসপি রাহুল ভাট জানিয়েছেন, 'জীবিত ব্যক্তি দাবি করেছেন, তিনি এই ঘটনা সম্পর্কে কিছুই জানেন না। তবে ঘটনাটি শনিবার গভীর রাতে ঘটেছে বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান করা হচ্ছে।'

২০১২ সালে পাকিস্তান থেকে ভারতে আসে পরিবারটি। কীভাবে মর্মান্তিক এই ঘটনা ঘটল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতদের মধ্যে চারজন মহিলা, দু’জন পুরুষ এবং পাঁচজন শিশু ছিল। তাঁরা প্রত্যেকেই বিষ বা বিষাক্ত কিছু খেয়েই সম্ভবত আত্মঘাতী হয়েছে বলে প্রাথমিক ধারণা পুলিশের। 

এসপি রাহুল ভাট আরও জানিয়েছেন, 'এখনও পর্যন্ত আমরা ওই ১১ জনের মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে পারিনি। তবে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, ওই পরিবারের সমস্ত সদস্যই রাতে রাসায়নিক খেয়ে আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন।' এমন অনুমানের কারণ হিসাবে পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, ওই ১১ জন যে কুঁড়েঘরটিতে থাকত, তার আশেপাশে রাসায়নিকের গন্ধ নাকে আসছিল তদন্তকারীদের।

আরও পড়ুন: হাইওয়ে দিয়ে দুলকি চালে হেঁটে চলেছে ১০ ফুটের কুমিরবাবাজী, সঙ্গে নো পরোয়া 'অ্যাটিটিউড', নিমেশে ভাইরাল ভিডিও

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পাক হিন্দু ওই পরিবারটি ভিল সম্প্রদায়ের। গ্রামে চাষাবাদের কাজ করত তাঁরা। একটি খামার বাড়িও তাঁরা চুক্তিভিত্তিতে ভাড়া নিয়েছিলেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতদের কারও শরীরেই কোনও আঘাতের বা জোরজবরদস্তির চিহ্ন নেই। 

তবে এতগুলির মৃত্যু পেছনে আত্মহত্যা না অন্য কিছু কারণ রয়েছে তা খতিয়ে দেখতে ইতিমধ্যে তদন্তে নেমেছে রাজস্থান পুলিশ। ফরেন্সিক দল ও ডগ স্কোয়ার্ড ঘটনাস্থলে গিয়েছে। তবে পারিবারিক অশান্তির কথা স্থানীয়দের মধ্যে কেউ-কেউ উল্লেখ করছেন। এদিকে  জমি থেকে বিষাক্ত গ্যাস নির্গমণের ফলে মৃত্যুর বিষয়টিকেও উড়েয় দেওয়া যাচ্ছে না। জমিতে ব্যবহৃত কীটনাশক থেকে এই দুর্ঘটনা বলে ধারণা  করছেন অনেকে। তবে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে শুরু হয়েছে তদন্ত। খুব শীঘ্রই আসল কারণ জানা যাবে বলে আশ্বস্ত করছে পুলিশ। 


 

Share this article
click me!