এমনিতেই টলোমলো অবস্থার মধ্য়ে দিয়ে চলছিল দেশের অর্থনীতি। এবার কফিনে শেষ পেরেক পুঁতে দিল ২১ দিনের লকডাউন। অর্থনীতিবিদরা আশঙ্কা করছেন, এদেশে অচিরেই কাজ হারাতে চলেছেন ১৩ কোটিরও বেশি মানুষ। যাঁরা মূলত অসংগঠিত ক্ষেত্রে কাজ করেন।
মানব উন্নয়ন অর্থনীতিবিদ ও জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্য়ালয়ের ইনফরমাল সেকটর অ্য়ান্ড লেবার স্টাডিজের অধ্য়াপক সন্তোষ মেরহোত্রা এমনটাই আশঙ্কা করেছেন। জয়তী পরিদার সঙ্গে একটি যুগ্ম প্রবন্ধে তিনি বিষয়টাকে ব্য়াখ্য়া করেছেন। সেখানেই তিনি এই আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন।
তবে লকডাউনের ফলে দেশের অর্থনীতি যে পঞ্চাশ বছর আগে পিছিয়ে যাবে পিছিয়ে যাবে, তার পূর্বাভাস দিয়েছিল একটি মার্কিন সংস্থা। তাদের আশঙ্কা ছিল, বৃদ্ধির হার কমে গিয়ে দাঁড়াতে পারে ২.৫ শতাংশে। যা পঞ্চাশ বছর আগে এদেশে ছিল। যাকে বলা হত, হিন্দু রেট অব গ্রোথ।
এই পরিস্থিতিতে যদিও কেন্দ্রীয় সরকার বেসরকারি সংস্থাগুলোর কাছে বারংবার বলে চলেছে ছাঁটাই না-করার কথা। এখন প্রশ্ন হল একটাই। সবাই তো আর সংগঠিত ক্ষেত্রে কাজ করেন না। অসংগঠিক ক্ষেত্রে মজুরদের সংখ্য়াই বেশি। লকডাউনের প্রভাবে ঝিমিয়ে পড়া অর্থনীতি যদি আরও ঝিমিয়ে পড়ে তাহলে তাঁদের কাজ পেতে অসুবিধে গবে। যাঁরা অংসগঠিত ক্ষেত্রে কাজ করছেন, তাঁরাও কাজ হারাবেন। আর যার খেসারত শুধু তাঁদেরকেই নয়, দিতে হবে গোটা দেশকে। সেক্ষেত্রে সরকার কতটা এগিয়ে আসবে সেটাই দেখার।