ধর্ষণের পর জীবন্ত কবর, ফের বিজেপি শাসিত রাজ্যে ভয়াবহ নির্যাতনের শিকার দলিত কিশোরী

মনে পড়ে যাচ্ছে মাত্র কয়েক মাস আগের হাথরস কাণ্ড

আবারও চরম অত্যাচারের শিকার এক দলিত কিশোরী

এবার ঘটনাস্থল মধ্যপ্রদেশের বেতুল জেলা

ধর্ষণের পর কিশোরীকে জীবন্ত কবর দেওয়া হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে

 

amartya lahiri | Published : Jan 19, 2021 1:03 PM IST / Updated: Jan 19 2021, 10:12 PM IST

উত্তরপ্রদেশের হাথরসের পর ফের এক বিজেপি শাসিত রাজ্যে ভয়ানক অত্যাচারের শিকার এক দলিত কিশোরী। মধ্যপ্রদেশের বেতুল জেলায় ১৩ বছরের ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করার পর জীবন্ত কবর দেওয়ার চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ। পুলিশ জানিয়েছে ঘটনাটি ঘটে সোমবার (১৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যায়। মঙ্গলবার এই ঘটনায় অভিযুক্ত হিসাবে ৩৫ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নির্যাতিতা মেয়েটির অবস্থা গুরুতর, তাঁকে পাশের রাজ্য মহারাষ্ট্রের নাগপুর শহরের এক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বেতুল জেলার পুলিশ সুপার সিমলা প্রসাদ জানিয়েছেন, সোমবার সন্ধ্যায় ঘোড়াডোংরি থানা এলাকার এক গ্রামে ওই কিশোরী মেয়েটি, একটি পাম্রপের মোটর বন্ধ করতে খেতে গিয়েছিল। সেখানেই তাকে একা পেয়ে অভিযুক্ত যুবক তার উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং তাকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। এখানেই শেষ নয়, এই অপরাধ গোপন করার উদ্দেশ্যে ধর্ষণের পর গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে টানতে টানতে নালার কাছে নিয়ে যায়। তার পাশেই এক গর্ত খুঁড়ে ওই কিশোরীকে সেই গর্তে ফেলে দেয় সে। পাথর ও কাঁটাঝোপ ফেলে সেই গর্ত সে বুজিয়েও দিয়েছিল, এমনটাই জানিয়েছেন তদন্তকারীরা। সম্ভবত সে ভেবেছিল, অত্যআচার সহ্য করতে না পেরে ওই কিশোরী মারা গিয়েছে।

আরও পড়ুন - ১৩-র কিশোরীকে ৫ দিনে দুবার গণধর্ষণ , সরকারের 'সম্মান' প্রচারের মধ্যেই বেআব্রু চার নারী

এদিকে, সন্ধ্যা অবধি মেয়েটি বাড়ি না ফেরায়, তার বাবা-মা ও দিদি তার খোঁজ শুরু করে। মোটরের সুইচ বন্ধ করতে খেতে গিয়েছিল বলে তার পরিবারর লোকজন খেতের কাছেই খোঁজাখুঁজি শুরু করে। সন্ধান করতে করতে নালার কাছে পৌঁছে গিয়েছিল তার দিদি। পাথর ও আগাছায় ঢাকা গর্তটি থেকে সে গোঙানির আওয়াজ পেয়েছিল। তত্ক্ষণাত্ সে তার বাবা ও পরিবারের অন্যান্যদের খবর দেয়। সকলে মিলে ঝোপঝাড় এবং পাথর সরিয়ে ফেলতেই ওই কিশোরীকে মরণাপন্ন অবস্থায় পাওয়া যায়।

আরও পড়ুন - সন্তান নাকি 'ছাগল', তাই ৮ মাসের শিশুকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ মায়ের বিরুদ্ধে

এরপর তাকে দ্রুত ঘোড়াডোঙ্গরি সিভিল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখান থেকে তাকে পাঠানো হয় জেলা হাসপাতালে। অবস্থা ক্রমে গুরুতর হওয়ায় জেলা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে নাগপুরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য রেফার করে। আপাতত সে সেখানেই মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছে।

আরও পড়ুন - সন্ধ্যেবেলা বাইরে না গেলে গণধর্ষণ হতে না, জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্য়ের বিবৃতিতে বিতর্ক

নির্যাতিতাই অভিযুক্তের নাম প্রকাশ করেছে। তার ও তার পরিবারের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে, ভারতীয় দণ্ডবিধির তফসিলি জাতি ও উপজাতি (অত্যাচার প্রতিরোধ) আইন এবং শিশু নির্যাতন ও শিশুদের বিরুদ্ধে থেকে যৌন অপরাধ প্রতিরোধ আইনের প্রাসঙ্গিক ধারায় মামলা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বেতুলের পুলিশ সুপার সিমলা প্রসাদ।

Share this article
click me!