পোড়ানো হল 'অপশক্তি' ইমরানের মারবত, নাগপুরে ধরে রাখল ১৩০ বছরের ঐতিহ্য

  • নাগপুরে পালিত হল ১৩০ বছরের পুরোনো মারবত উৎসব
  • ব্রিটিশ রাজের বিরোধিতায় সৃষ্টি হয়েছিল এই উৎসবের
  • দুটি মাটির পুতুল পুড়িয়ে অপশক্তিকে দূর করা হয়
  • এইবার সেই দুটি পুতুলের সঙ্গে পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের একটি পুতুলও দাহন হল

amartya lahiri | Published : Aug 31, 2019 1:36 PM IST

শনিবার মহারাষ্ট্রের নাগপুরে গত ১৩০ বছরের মতো ধূমধাম করে পালিত হল মারবত উৎসব। আদতে ব্রিটিশ রাজের বিরোধিতায় সৃষ্টি হয়েছিল এই উৎসব। এই উৎসবে একটি 'কালি' অর্থাৎ কালো ও একটি 'পিলি' অর্থাৎ হলুদ রঙের মারবত বা মাটির পুতুল তৈরি করা হয়। শহরের রাস্তা দিয়ে প্রদক্ষিণের পর সেই পুতুল দুটি পুড়িয়ে দেওয়া হয়। মনে করা হয় এইভাবে অপশক্তিকে দূর করা হল। এইবার সেই দুটি মাটির পুতুলের সঙ্গে বাড়তি সংযোজন হিসেবে থাকল পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের আদলে গড়া একটি পুতুল। কালি পিলি মারবতের সঙ্গে দাহন করা হল ইমরানের পুতুলটিরও।

১৮৮১ সালে প্রথম এই উৎসবের সূচনা হয়েছিল। কালি মারবত তৈরি করা হয় স্থানীয় বাঁকাবাড়ির রানী ভোঁসলার অনুকরণে। তিনি ব্রিটিশদের কাছে আত্মসমর্পন করেছিলেন। এর ৪ বছর পর ১৮৮৫ সালে কালি মারবতের সঙ্গে যুক্ত হয় পিলি মারবত, যা ব্রিটিশরাজের প্রতীক হিসেবে তৈরি করা হয়েছিল।

বর্তমানে মারবতগুলি তৈরি করা হয় জগন্নাথ বুধওয়ারির পিলি মারবত মন্দিরে। তারপর শহরের দুটি দিক দিয়ে রাস্তা দিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় মারবতগুলিকে। মনে করা হয় রাস্তা দিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় মারবতগুলি সমাজের সব অপশক্তিকে শুষে নেয়। এরপর নেহরু পুতলা স্কোয়ারে নিয়ে গিয়ে মারবতগুলিকে দশেরায় রাবণ দহনের মতো করে পুড়িয়ে দেওয়া হয়।

যা শুরু হয়েছিল ব্রিটিশদের অপশাসনের প্রতিবাদ রূপে, সেখানেই এদিন জায়গা করে নিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী। এদিন ইমরানের পুতুলের গায়ে বেশ কিছু স্লোগান লেখা পোস্টারও ঝোলানো ছিল। কোনোটিতে লেখা ছিল, 'পাকিস্তানের ঘরে খাওয়ার নেই, ভারতকে যুদ্ধের হুমকি দিচ্ছে'। কোনওটিতে লেখা ছিল, 'কাশ্মীর তো আমাদেরই এবার পাক অধিকৃত কাশ্মীরের পালা'। বাকি দুই পুতুলের সঙ্গে এদিন পোড়ানো হল ইমরানের প্রতীকি পুতুলটিকেও।    

 

Share this article
click me!