দিন কয়েক আগে এক দলিত ব্যক্তির মৃত্যুর পর সমাজের উচ্চবর্ণের তরফে তার অন্ত্যেষ্টি ক্রিয়া করতে না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল, আর সেই কারণেই তাঁর মৃতদেহটি একটি সেতুর ওপর থেকে নদীতে ফেলে দেওয়ার ছবিও ভাইরাল হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। এরপর সেই ঘটনার প্রেক্ষিতে সওয়াল তুলেছিল মাদ্রাজ হাইকোর্ট। হাইকোর্টের দাবি ছিল, হিন্দু হওয়া সত্ত্বেও কেনআলাদা সৎকারের ব্যবস্থা করা হবে দলিত ব্যক্তির।
আর এবার ফের বর্ণ বিদ্বেষের শিকার হলেন এক দলিত শিক্ষক। গুজরাতের সুরেন্দ্রনগর জেলার একটি একটি বিদ্যালয়ে এক দলিত শিক্ষক তাঁরই উচ্চবর্ণের সহকর্মীদের পানীয় জলের পাত্র থেকে জল খেয়েছিলেন। আর সেই কারণেই তাঁকে ওই তথাকথিত উচ্চবর্ণ বাল্মিকী সম্প্রদায়ের শিক্ষকদের জলের পাত্র থেকে যেন জল পান করতে নিষেধ করা হয়েছিল। শুধু তাই নয়, এই মর্মে ওই দলিত শিক্ষককে নোটিশও দেন ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মানসিং রাঠৌর।
৩৭০ ধারা বিলোপের আগে বিরাট আয়োজন, মোদীর উদ্যোগে করা হয়েছিল বিশেষ হোম-যজ্ঞ
এখানেই শেষ নয় অভিযোগকারী ওই দলিত শিক্ষক ৪৬ বছর বয়সী কানাইলাল বাড়াইয়ার জন্য স্কুলে আলাদা জলের পাত্রেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। শুধু তাই নয়, স্কুলে পাঠরত ছাত্রছাত্রীদের অভিভাবকদের কাছ থেকে হুমকি পান বলে দাবি ওই স্কুল শিক্ষকের। এই ঘটনার দু সপ্তাহ পরে যখন সেই দলিত সম্প্রদায়ের শিক্ষক এই বর্ণবৈষম্যের দাবি জানিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন, এরপরই তাঁকে অন্য সরকারি স্কুলে বদলি করে দেওয়া হয় বলে খবর।