এই প্রথম আমাদের দেশ থেকে এমন একটি উপগ্রহ মহাকাশের উদ্দেশ্যে রওনা দিল, যেটি নির্মিত হয়েছে ছোট ছোট পড়ুয়াদের হাতে।
১৯ ফেব্রুয়ারি, রবিবার, এক বিরল প্রতিভার সাক্ষী থাকল ভারত। মহাকাশে পাড়ি দিল স্কুল-পড়ুয়াদের নিজের হাতে তৈরি করা স্য়াটেলাইট। অভিযানের নাম এপিজে আব্দুল কালাম স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিক্যাল মিশন। রবিবার দুপুর দুটোর পর তামিলনাড়ু চেঙ্গলপট্টু পাট্টিপোলাম থেকে মহাকাশের উদ্দেশ্যে দেড়শোটি স্যাটেলাইট নিয়ে রওনা দেয় একটি রকেট।
ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের স্কুল থেকে আসা প্রায় পাঁচ হাজার পড়ুয়া মিলে তৈরি করেছে এই উপগ্রহগুলি। এর পরিকল্পনার সঙ্গে যুক্ত ছিল একশোরও বেশি সরকারি স্কুল থেকে আসা দুই হাজারেরও বেশি পডু়য়া। এই প্রথম আমাদের দেশ থেকে একটি উপগ্রহ মহাকাশের উদ্দেশ্যে রওনা দিল যেটি নির্মিত হয়েছে ছোট ছোট পড়ুয়াদের হাতে। মার্টিন ফাউন্ডেশন এবং স্পেস জোন অফ ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেডের সহযোগিতায় ডক্টর এপিজে আবদুল কালাম ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশন এই রকেটটি উৎক্ষেপণের আয়োজন করেছিল। তামিলনাড়ুর চেঙ্গলপট্টু জেলার পাট্টিপোলাম গ্রামে এই বিরল স্য়াটেলাইট উৎক্ষেপণে উপস্থিত ছিলেন তামিলনাড়ুর রাজ্যপাল তামিলসাই সুন্দররাজন।
এই স্য়াটেলাইটগুলি তৈরির জন্য পড়ুয়াদের বিশেষ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়। ক্লাস হয়েছিল ভার্চুয়ালে। থিয়োরির পর হাতে-কলমে প্র্যাক্টিক্যাল করানো হয়। রকেট তৈরির খরচের ৮০ শতাংশ দিয়েছে তামিলনাড়ুর বেসরকারি সংস্থা মার্টিন ফাউন্ডেশন। উপগ্রহের নাম 150 PICO।
ইসরো (ISRO) জানিয়েছে, আগামীদিনে যে শিক্ষার্থীরা মহাকাশ নিয়ে গবেষণা করতে চায়, তাদের ক্ষেত্রে এই প্রকল্প আরও বেশি উৎসাহ দেবে। প্রযুক্তিবিদ্যা এবং বিজ্ঞান গবেষণায় এই উৎক্ষেপণ অত্যন্ত সহায়ক হবে। নিজেদের হাতে তৈরি উপগ্রহ সাফল্যের সঙ্গে মহাকাশে উৎক্ষেপণ করার খবর পেয়ে নির্মাণকারী পডু়য়ারা অত্যন্ত আনন্দিত। ইসরোর তরফে জানানো হয়েছে যে, আগামি দিনেও উপগ্রহ তৈরির জন্য এই পডু়য়াদের সাহায্য নেওয়া হবে। উপগ্রহের দিকে নজর রাখতে বিশেষ মনিটরিং সেন্টার খুলেছে ইসরো।
আরও পড়ুন-
২০ ও ২১ ফেব্রুয়ারি ডিএ আন্দোলনের দিন কোনও শিক্ষাকর্মী স্কুলে অনুপস্থিত থাকতে পারবেন না, 'মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য' কড়া নির্দেশ পর্ষদের
বাংলায় ফের ‘বঙ্গভঙ্গ’-এর প্রসঙ্গ, সোমবার বিরোধীদের নিয়েই বিধানসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আলোচনার ডাক
গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে গেল তৃণমূল নেতার দেহ, পঞ্চায়েত ভোটের আগেই রক্তাক্ত বিষ্ণুপুর