২০১২ সালের ১৬ ডিসেম্বরের রাত ভারতের ইতিহাসের অন্যতম এক কলঙ্কময় দিন। সেদিন নিজের বন্ধুর সঙ্গে সিনেমা দেখে ফিরছিলেন ২৩ বছরের এক তরুণী। দক্ষিণ দিল্লিতে এক বেসরকারি ফাঁকা বাসে ওই তরুণীকে নির্মম ভাবে ধর্ষণ করেছিল ৬ ব্যক্তি। কয়েক ঘণ্টা ধরে লোহার রড দিয়ে নির্যাতন করা হয় তরুণীকে। ২৯ ডিসেম্বর মৃত্যু হয় নির্ভয়ার। গোটা দেশ রাগে, ক্ষোভে গর্জে উঠেছিল এমন অমনুষিক বর্বরতার বিরুদ্ধে। দীর্ঘ সাত বছরের লড়াইয়ের পর অবশেষে ফাঁসি হতে চলেছে নির্ভয়াকাণ্ডের চার দোষীর।
নির্ভয়াকাণ্ডের পর ধর্ষকদের চরম শাস্তির দাবি ওঠে দেশজুড়ে। তার পরেও অবশ্য ধর্ষণ ও নির্যাতনের মত ঘটনা কমেনি এদেশে। এবার নাগপুরে উনিশ বছরের এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল। অভিযোগ ধর্ষক তরুণীর গোপলাঙ্গে লোহার রডও ঢুকিয়ে দেয়।
নারকীয় এই ঘটনাটি ঘটেছে গত ২১ জানুয়ারি নাগপুরের পারডি এলাকায়। ইতিমধ্যে অভিযুক্ত যোগীলাল রাহাঙডালেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গোন্ডিয়া জেলা থেকে ৫২ বছরের যোগীলালকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
জানা যাচ্ছে একটি সুতোকলে সুপারভাইজারের কাজ করত অভিযুক্ত ব্যক্তি। নির্যাতিতা ওই মিলেই শ্রমিক হিসাবে নিযুক্ত ছিলেন। পারডিতে একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতেন নির্যাতিতা, তার ভাই, আরেকজন মহিলা। তাতে যোগ দেয় অভিযুক্ত সুপারভাইজারও।
আরও পড়ুন: মার্কিন মুলুকে ফের ভারতীয় বংশোদ্ভূত ছাত্রীর রহস্য মৃত্যু, কলেজ ক্যাম্পাসেই উদ্ধার দেহ
পারডির পুলিশ ইন্সপেক্টর সুনিল চহ্বান জানান, গত ২১ জানুয়ারি নির্যাতিতার ভাই ও তার বান্ধবী একটি কাজে গ্রামের বাড়ি যান। সেই সময় বাড়িতে একাই ছিলেন ওই তরুণী। সুযোগ বুঝে যোগীলাল তাকে ধর্ষণ করার চেষ্টা করে। তরুণী তাকে বাধা দিতে গেলে অভিযুক্ত মুখে কাপড় চাপা চাপা দিয়ে চেপে ধরে। তরুণী অজ্ঞান হয়ে পড়লে তাকে ধর্ষণ করা হয়, পরে গোপনাঙ্গে ঢুকিয়ে দেওয়া হয় লোহার রড।
২৪ জানুয়ারি ভাইয়ের কাছে গোটা বিষয়টি জানান নির্যাতিতা। এরপরেই সুতোকলের সুপারভাইজার যোগীলাল রাহাঙডালের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়।