জম্মু ও কাশ্মীরের কুলগাম জেলার চাওয়ালগাম এলাকায় এখনও জারি রয়েছে গুলির লড়াই। ঘটনাস্থল থেকে আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করেছে নিরাপত্তা বাহিনী।
সাত সকালে বড় সাফল্য ভারতীয় সেনার (Indian Army)। নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে খতম হিজবুল মুজাহিদিনের (Hizbul Mujahideen) এক শীর্ষ কম্যান্ডার। পাশাপাশি আরও এক জঙ্গি খতম হয়েছে বলে কাশ্মীর জোন পুলিশের (Kashmir Zone Police) তরফে জানানো হয়েছে। জম্মু ও কাশ্মীরের কুলগাম জেলার (Kulgam District) চাওয়ালগাম এলাকায় এখনও জারি রয়েছে গুলির লড়াই। ঘটনাস্থল থেকে আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি (Arms and Ammunition) উদ্ধার করেছে নিরাপত্তা বাহিনী।
কাশ্মীর পুলিশ (Kashmir Police) সূত্রে জানা গিয়েছে, গোপন সূত্র থেকে ওই এলাকায়য় জঙ্গিদের লুকিয়ে থাকার খবর পেয়েছিলেন তাঁরা। তারপরই আজ সকালে কাশ্মীরের কুলগামের চাওয়ালগামে যৌথভাবে অভিযান শুরু করে সিআরপিএফ ও পুলিশ। তল্লাশি অভিযান শুরু হওয়ার পরই পুলিশ ও সিআরপিএফকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় জঙ্গিরা। শুরু হয় গুলির লড়াই। তখনই দুই জঙ্গিকে খতম করা হয়। এখনও ওই এলাকায় একাধিক জঙ্গি লুকিয়ে রয়েছে বলে খবর। তার জেরে সেখানে এখনও পর্যন্ত জারি রয়েছে গুলির লড়াই। যে দুই জঙ্গিকে খতম করা হয়েছে তাদের মধ্যে শিরাজ মৌলবী ছিল হিজবুলের জেলা কম্যান্ডার। খতম হওয়া আরও এক জঙ্গির নাম ইয়াওয়ার ভাট।
আরও পড়ুন- Football Club-মোবাইল গেম ও মাদকের হাত থেকে বাঁচতে অভিনব উদ্যোগ,তৈরি ফুটবল ক্লাব
আরও পড়ুন- নতুন মোড়কে পুরোনো স্বাদ, অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএসে মিলবে পাবজি নিউ স্টেট
কাশ্মীর পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল বিজয় কুমার বলেন, "শিরাজ এই এলাকার তরুণদের হিজবুলে নিয়োগের কাজ করত। ২০১৬ সাল থেকে এই এলাকায় সক্রিয় ছিল সে। তার মূল কাজই ছিল জেহাদিদের নিয়োগ করা। এর আগেও বহু হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিল। তার মৃত্যু আমাদের জন্য বড় সাফল্য।”
আরও পড়ুন- টানা ৮দিন অপরিবর্তিত জ্বালানির দাম, কোথায় কত দামে মিলছে পেট্রোল-ডিজেল
প্রসঙ্গত, কাশ্মীরে গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই বাড়ছে অনুপ্রবেশের চেষ্টা। আসলে শীত পুরো উপত্যকা বরফে ঢেকে যাওয়ার আগেই জেহাদি সংগঠনগুলি নিজেদের কম্যান্ডারদের ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা করছে। তবে জেহাদিদের এই চেষ্টা রুখে দিয়েছে ভারতীয় সেনা। সাতসকালে বড় সাফল্য পেয়েছন তাঁরা।
এর আগে ২০ অগাস্ট সেনার সঙ্গে সংঘর্ষে দুই জঙ্গি খতম হয়েছিল। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল অস্ত্রশস্ত্র ও বিস্ফোরক তৈরির সরঞ্জাম। কাশ্মীর জোন পুলিশের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক জানিয়েছিলেন ওই দুই জঙ্গি হিজবুল মুজাহিদিনের সদস্য ছিল। একজন জঙ্গি খরু এলাকার বাসিন্দা মুসাইব আহমেদ। ওই ঘটনার পর ফের একবার উপত্যকায় জঙ্গি নিকেশে বড় সাফল্য পেল সেনা বাহিনী।