ফের কাশ্মীরে সেনা-জঙ্গি সংঘর্ষ। আর তাতে প্রাণ গেল ২ জঙ্গির। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্রও। এবারের ঘটনাস্থল বারামুলা।
সেনার তরফে জানান হয়েছে, শনিবার সকালে নওগাম সেক্টরের কাছে লাইন অফ কন্ট্রোল অর্থাৎ নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর কিছু সন্দেহজনক গতিবিধি লক্ষ্য করা যায়। সীমান্ত দিয়ে যে জঙ্গি ঢুকবে সে খবর আগেই ছিল নিরাপত্তাবাহিনীর কাছে। তাই সজাগ ছিলেন নিরাপত্তারক্ষীরা। সন্দেহ হতেই অভিযান শুরু করেন তাঁরা।
আরও পড়ুন: করোনার ভ্যাকসিনের আশায় বসে গোটা বিশ্ব, অমৃত হয়ে উঠতে পারে কাঁকড়ার নীল রক্ত
বারামুলা জেলার কাছে নওগাম সেক্টরে সেনার গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে গিয়েছে ২ জঙ্গি। দুটো একে-৪৭ রাইফেল ছাড়াও আরও বেশ কিছু অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে নিহত দুই জঙ্গির কাছ থেকে।
সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত জঙ্গিদের একজেনর নাম আহমেদ ভাট। কুপওয়ারার হান্ডওয়ারার বাসিন্দা ২৩ বছরের আহমেদ ২০১৮ সালে ওয়াঘা সীমান্ত পেরিয়ে পাকিস্তানে গিয়েছিল। সেনার এক আধিকারিক জানান, মৃত ২ জঙ্গিই লস্করের সদস্য। এদের মধ্যে একজনের পরিচয় এখনও জানা যায়নি। এক্ষেত্রে সে এদেশের বাইরে থেকে আসা জঙ্গি বলেই মনে করা হচ্ছে।
সামনেই কাশ্মীর ৩৭০ ধারা বিলোপের একবছর পূর্তি হতে চলেছে। তার আগেই উপত্যকাকে অশান্ত করতে পাকিস্তান জঙ্গিদের দিয়ে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলেই সেনা সূত্রে খবর। এদিনও এলওসির ১০০ মিটারের মধ্যেই ২ জঙ্গিকে নিকেশ করেছে সেনা। এদিকে মৃত জঙ্গিদের থেকে পাওয়া একটি পিস্তল চিনে নির্মিত বলে জানিয়েছে বাহিনী। আর গ্রেনেড গুলি তৈরি হয়েছে পাকিস্তার্নের অর্ডিন্যান্স ফ্যাক্টরিতে। ফলে সীমান্তে উত্তেজনা তৈরি করতে চিন ও পাকিস্তান যে জঙ্গিদের যৌথভাবে মদল দিচ্ছে তা আরও স্পষ্ট হয়ে গেল।