একদিকে প্রেমিকা আর অন্যদিকে পরিবারের পছন্দ করা পাত্রী, ২ জনকে নিয়েই বিয়ের পিঁড়িতে বসলেন পাত্র

  • ঠিক যেন বলিউডি সিনেমার দৃশ্য
  • পড়তে গিয়ে প্রেম করেছেন যুবক
  • এদিকে বাবা-মা তাঁর বিয়ে অন্যত্র স্থির করেছেন
  • ঝামেলা মেটাতে দুটো বিয়েই একসঙ্গে করলেন যুবক

Asianet News Bangla | Published : Jul 11, 2020 10:47 AM IST / Updated: Jul 11 2020, 04:25 PM IST

এযেন একেবারে হিন্দি সিনেমার গল্প। একদিকে বাড়ির পছন্দ করা পাত্রী আর অন্যদিকে নিজের প্রেমিকা। কাকে বিয়ে করবেন নায়ক। তাই নিয়ে ছবিরে হিরোর মনে ঝড় ওঠে। তবে মধ্যপ্রদেশের গোড়াডোংরি ব্লকের কেরিয়া গ্রামেপ বাসিন্দা সন্দীপ এর সমাধান বার করেছেন। কাউকেই নিরাশ করেননি তিনি। দুই পাত্রীকে নিয়েই একসঙ্গে বসলেন বিয়ের পিঁড়িতে। আর এমনি তাজ্জব বিয়ে দেখতে উপচে পড়েছিল গোটা গ্রাম।

এই গল্পের নায়ক মধ্যপ্রদেশের বেতুল জেলা সদর থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে ঘোডাডোংরি ব্লকের কেরিয়া গ্রামের বাসিন্দা সন্দীপ। আদিবাসী এই যুবক ভোপালে পড়াশোনার জন্য থাকার সম.ই হোশদাবাদের এক যুবতীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা হয়। দু'জনে বিয়ে করবেন বলেও ঠিক করেন। এদিকে সন্দীপের পরিবারও তাঁর জন্য পাত্রী ঠিক করে ফেলে। সেই পাত্রীর বাড়ি আবার  ঘোদাডোংরি ব্লকের কয়ালারি গ্রামে। সন্দীপকে বিয়ের কথা বলতেই শুরু হয় অশান্তি। তবে শেষপর্যন্ত প্রেমিকাকে কষ্ট দেয়নি সন্দীপ, ফেলেনি জন্মদাত্রীর কথাও। তাই গত ৮ জুলাই দুই কনেকেই একসঙ্গে বিয়ে করলেন সন্দীপ।

আরও পড়ুন: 'বিকাশের ভাগ্যে এটাই ছিল', ছেলেকে নিয়ে স্বামীর শেষযাত্রায় এসে বললেন সহধর্মিনী রিচা

এদিকে জানা যাচ্ছে, দুই পাত্রীকে নিয়েই সন্দীপের পরিবারে অশান্তি চলছিল। শেষপর্যন্ত সমস্যার সমাধানে আসরে নামতে হয় স্থানীয় পঞ্চায়েতকে। সালিশিসভা ডেকে এর বিচার করা হয়। পঞ্চায়েতে স্থির হয়, দুই তরুণী যদি সন্দীপের সঙ্গে থাকতে রাজি হন, তাহলে তিনি দু’জনকেই বিবাহ করতে পারবেন।
 সম্মতি জানায় দুজন যুবতীর পরিবারও। তারপরেই বুধবার মহাধূমধামের সঙ্গে তিন পরিবারের উপস্থিতিতে সাতপাকে বাঁধা পরেন তিন জন। 

কেরিয়া গ্রামে বসেছিল এই বিয়ের আসর। দুই কনেকে অগ্নিসাক্ষী রেখে বিয়ে করেন আদিবাসী যুবক সন্দীপ। যেখানে গ্রামের লোকেরা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন দুই কনের বাড়ির সদস্যরাও। এদিকে করোনাভাইরাস মহামারির  কারণে বর্তমানে বিয়ের অনুষ্ঠানের জন্য সরকারের তরফে বিশেষ অনুমতির প্রয়োজন হয়। কিন্তু এই বিয়ের আয়োজন  সম্পর্কে কোনও তথ্যই তাদের জানানো হয়নি বলে দাবি করছে জেলা প্রশাসন। তাই জেলা প্রশাসন বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে।

আরও পড়ুন: করোনা নিয়ে এসেছে বিশ্বের গাড়ি শিল্পের বাজারে অভূতপূর্ব সংকট, সবচেয়ে বড় বিপর্যয়ের মুখে ইউরোপ

সন্দীপ ভেবেছিলেন দুই বউকে নিয়ে এবার সুখে সংসার করবেন। কিন্তু সন্দীপের জীবনে এখন নতুন সমস্যা এসে উপস্থিত হয়েছে। বর্তমানে বিয়ের অনুষ্ঠানে সর্বোচ্চ ৫০ জনের আসার কথা। কিন্তু সন্দীপের বিয়েতে এসেছিল প্রায় গোটা গ্রাম। বেশিরভাগের মুখেই ছিল না কোনও মাস্ক। এমনকী পাত্রপাত্রীদের মুখেও না। ফলে সুখে সংসার করার বদলে এবার স্থানীয় প্রশাসনের মামলার সন্মুখীন হতে পারেন মধ্যপ্রদেশের এই যুবক।

Share this article
click me!