
Bengaluru Stampede Update: রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর (Royal Challengers Bengaluru) প্রথম আইপিএল (IPL 2025) ট্রফি জয়ের উদযাপন বুধবার শোকাবহ হয়ে উঠেছে। বেঙ্গালুরুতে আনন্দ উদযাপনের সময় ঘটে গেল মারাত্মক বিপর্যয়। এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় ১১ জনের মৃত্যু হয় এবং বেশ কয়েকজন আহত হন। এই ঘটনাটি তখন ঘটে যখন হাজার হাজার আরসিবি সমর্থক কোনও নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থা ছাড়াই আইপিএল চ্যাম্পিয়ন দলের সদস্যদের দেখার জন্য রাস্তায় জড়ো হয়েছিলেন। আরসিবি-র জয়ের আনন্দ মুহূর্তেই শোকে পরিণত হয়। এই ঘটনা সারা দেশকে নাড়িয়ে দিয়েছে। ২০০৮ সালে যেবার আইপিএল শুরু হয়েছিল, সে বছরই ঠিক একই রকম একটি দুর্ঘটনা রাজস্থানের যোধপুরে ঘটেছিল। যেখানে ১০ বা ২০ নয়, ২২৪ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এবার বেঙ্গালুরুতে পদপিষ্ট হয়ে ১১ জনের মৃত্যুর ঘটনায় যোধপুরের ঘটনার স্মৃতি ফিরে আসছে।
বেঙ্গালুরুর মর্মান্তিক ঘটনা শুধু সারা দেশকেই নাড়া দেয়নি, রাজস্থানের যোধপুরে অবস্থিত চামুণ্ডা মাতা মন্দিরে ২০০৮ সালে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ ভিড়ের ঘটনার স্মৃতিও জাগিয়ে তুলেছে। সেই দুর্ঘটনায় ২২৪ জন ভক্তের প্রাণহানি ঘটেছিল। নবরাত্রির প্রথম দিনে মন্দিরে বিশাল ভিড় জমেছিল। মন্দিরের সিঁড়িতে হঠাৎই ভিড়ের সৃষ্টি হয়েছিল। সেই ভিড়ের মধ্যে হুড়োহুড়ি শুরু হয়ে যায়। তারপর ২২৪ জন পদপিষ্ট হয়ে প্রাণ হারান।
১৭ বছর আগে ঘটে যাওয়া এই দুর্ঘটনায় মৃত্যুর দৃশ্য এতটাই ভয়াবহ ছিল যে যাঁরা এটি দেখেছিলেন তাঁদের হৃদয় কেঁপে উঠেছিল। যেদিকেই তাকানো যায়, কেবল মৃতদেহের স্তূপ। যার মধ্যে বৃদ্ধ থেকে শুরু করে শিশু এবং মহিলাদেরও মৃত্যু হয়েছিল। রাজস্থানের ইতিহাসে কোনও ধর্মীয় স্থানে এর আগে কখনও এত বড় দুর্ঘটনা ঘটেনি। যোধপুরের ঘটনা বিরল।
১৭ বছরের ব্যবধানে ঘটে যাওয়া দুই দুর্ঘটনায় জনতাকে নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতা, গুজব বা আবেগপ্রবণ উন্মাদনা এবং সরু রাস্তা বা খোলা মাঠে ভিড় নিয়ন্ত্রণের পরিকল্পনার অভাব স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। আরসিবি-র বিজয় মিছিলের এই দুর্ঘটনা প্রমাণ করে যে, তা ধর্মীয় অনুষ্ঠান হোক বা খেলার মাঠে জয়ের উৎসব, জনসমাগমের বৈজ্ঞানিক এবং দায়িত্বশীল ব্যবস্থাপনা কতটা জরুরি।
সরকার এবং আয়োজকদের এখন বুঝতে হবে যে কেবল অনুষ্ঠান আয়োজনই নয়, জনসমাগম নিয়ন্ত্রণ এবং জরুরি ব্যবস্থার জোরদার প্রস্তুতিও সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ। ভিড় যে কোনও সময় উৎসবকে বিপর্যয়ে পরিণত করতে পারে। যদি সময়মতো ভিড় নিয়ন্ত্রণ না করা হয়। আরসিবি সমর্থকদের উৎসবে শোকের এই কালো ছায়া একটি সতর্কবার্তা। এর থেকে সরকার এবং আয়োজকদের অবশ্যই শিক্ষা নেওয়া উচিত।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।