গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করলেন তরুণী সাংবাদিক, শ্রীঘরে যেতে হল এসপি নেতাকে

  • নিজের ঘরে আত্মহত্যা করলেন তরুণী সাংবাদিক
  • তরুণীর ঘর থেকে উদ্ধার হয় সুইসাইড নোট
  • আত্মহত্যার জন্য দায়ি করা হয়েছে এক রাজনৈতিক নেতাকে
  • ওই নেতার সঙ্গে দীর্ঘদিনের বন্ধুত্ব ছিল মহিলা সাংবাদিকের

Asianet News Bangla | Published : May 6, 2020 9:06 AM IST / Updated: May 06 2020, 03:17 PM IST


দেশে করোনা পরিস্থিতি ক্রমেই উদ্বেগ তৈরি করছে। যোগী রাজ্য উত্তরপ্রদেশেও প্রতিদিন বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা ইতিমধ্যে করোনা সংক্রমণের সংখ্যা তিন হাজারের দোড়গোড়ায় পৌঁছে গিয়েছে দেশের সবচেয়ে বড় রাজ্যে। এই পরিস্থিতিতে সবাই যখন করোনা মোকাবিলায় ব্যস্ত তখন গ্রেফতার হতে হল সমাজবাদী পার্টির এক নেতাকে। গত সোমবার বারাণসী জেলার হরপালপুরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন ২৮ বছরের  ফ্রিলান্স সাংবাদিক রিজওয়ানা তাবাসসুম। এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয় সমাজবাদী পার্টির নেতা শামিম নোমানিকে। 

জানা যাচ্ছে, নিজের পেশায় জায়গা পাকা করার লড়াই চালাচ্ছিলেন তরুণী রিজওয়ানা। সোমবার দীর্ঘ সময় ধরে তিনি নিজের ঘরের দরজা না খোলায় পরিবারের সন্দেহ হয়। অনেক ডেকেও সাড়া না মেলায় দরজা ভাঙতে বাধ্য হন তাঁরা। ভিতরে ঢুকে  হতভম্ব হয়ে যান সকলে, দেখেন রিজওয়ানার দেহ সিলিং থেকে ঝুলছে।

আরও পড়ুন: পাস্তুন নেতা ও সাংবাদিক খুনে বেকায়দায় পাকিস্তান, কড়া ব্যবস্থা নিচ্ছে ইউরোপিয় কমিশন

খবর যায় পুলিশে। পুলিশ এসে দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। রিজওয়ানার ঘর থেকে উদ্ধার হয় একটি সুইসাইড নোট। পুলিশ জানাচ্ছে,  সেখানে লেখা ছিল তাঁর মৃত্যুর জন্য সমাজবাদী পার্টির নেতা শামিম নোমানি কে দায়ি করে গেছেন ওই তরুণী।  সুইসাইড নোটের ভিত্তিতে প্রথমে নোমানিকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ। পরে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। 

বেনারস সদরের পুলিশ কমিশনার জানান,তরুণীকে  আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে ইতিমধ্যে নোমানির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। রিজওয়ানারর বাবাও সমাজবাদী পার্টির ওই নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। এদিকে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে রিজওয়ানার গলায় ফাঁস লেগে মৃত্যুর কথা নিশ্চিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

আরও পড়ুন: মাথার দাম ছিল ১২ লক্ষ টাকা, এনকাউন্টারে খতম হিজবুল কমান্ডার রিয়াজ নাইকু

জানা যাচ্ছে দীর্ঘদিন ধরেই এসপি নেতার সঙ্গে গভীর বন্ধুত্ব ছিল সাংবাদিক রিজওয়ানা তাবাসসুমের। শামিমের সঙ্গে মেয়ের বন্ধুত্বের ব্যাপারে পরিবারও জানত বলে জানিয়েছেন রিজওয়ানার বাবা। তিনি আরও বলেন, মেয়ে বাল সাংবাদিক ছিলেন, পরিবারের দিকে যথেষ্ট খেয়াল রাখতেন। রিজওয়ানার সঙ্গে কারও শত্রুতা ছিল বলে তাঁর জানা নেই। 

বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস কমিউনিকেশন শেষ করে একাধিক পোর্টাল ও পাকলিকেশনে  ফ্রিলান্স সাংবাদিক হিসাবে কাজ করছিলেন রিজওয়ানা তাবাসসুম।  কেন রিজওয়ানা এমন চরম পদক্ষেপ বেছে নিলেন তা খতিয়ে দেখতে পুলিশ তদন্ত চালাচ্ছে। 
 

Share this article
click me!