নির্ভয়াকাণ্ডে দোষীদের সাজা দিয়েছে আদালত। কিন্তু মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হবে কবে? সুপ্রিম কোর্টে ফের রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি জানানোর ইচ্ছাপ্রকাশ করেছে তিনজন সাজাপ্রাপ্ত বন্দি। এমনকী, আদালতে যদি রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি খারিজ হয়ে যায়, সেক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কাছে তারা প্রাণভিক্ষারও আবেদন জানাবে বলে জানা গিয়েছে।
আদালতে যখন নির্ভয়াকাণ্ডের বিচার চলছিল, তখন তিহাড় জেলে আত্মহত্যা করে মূল অভিযুক্ত রাম সিং। নাবালক হওয়ার কারণে মাস দুয়েক বন্দি থাকার পর মুক্তি পেয়েছে আরও এক অভিযুক্ত। বাকি চারজন অপরাধীকে ২০১৩ সালে মৃত্যুদণ্ড দেয় দিল্লির একটি আদালত। ২০১৭ সালে সেই রায়ই বহাল রাখে দিল্লি হাইকোর্টও। শেষপর্যন্ত রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করে নির্ভয়াকাণ্ডে সাজাপ্রাপ্ত চার অপরাধীদের একজন অক্ষয় কুমার সিং। গত বুধবার সেই আবেদনও খারিজ করে দেয় দেশের শীর্ষ আদালত। তবে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার জন্য অপরাধীদের এক সপ্তাহ সময় দিয়েছে আদালত।
আরও পড়ুন: ষোড়শী ছাত্রীর বুকে অ্যাসিড, অভিযোগের তির গেল প্রিন্সিপালের দিকে
নির্ভয়াকাণ্ডে সাজাপ্রাপ্ত চার অপরাধী এখন দিল্লির তিহাড় জেলে বন্দি। সূত্রের খবর, সুপ্রিম কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে কি ফের আবেদন জানাতে চায় তারা? নোটিশ জারি করে সাজাপ্রাপ্ত চার বন্দির কাছে তা জানতে চেয়েছিল জেল কর্তৃপক্ষ। জবাবে তিন জনই আইনি পথে মৃত্যুদণ্ড মকুবের আবেদন জানানোর ইচ্ছাপ্রকাশ করেছে। এদিকে আবার ফাঁসুড়ের অভাবে নির্ভয়াকাণ্ডে দোষীদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা নিয়েও চিন্তায় পড়েছে তিহাড় জেল কর্তৃপক্ষ। জানা গিয়েছে, অন্য জেলে ফাঁসুড়ের খোঁজ করতে শুরু করেছেন তিহাড় জেলের কর্তারা। এমনকী. তিহাড় জেলের শেষ ফাঁসুড়ে যে গ্রামে থাকতেন, খোঁজ নেওয়া হচ্ছে সেখানেও। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সমস্যা মেটেনি বলে খবর।
তিহাড় জেলের ফাঁসুড়ে হতে চেয়ে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কাছে আবেদন করেছেন পূর্ব মেদিনীপুর মহিষাদলে যুবক চিত্তরঞ্জন দাস। রাষ্ট্রপতি যদি আবেদনে সাড়া দেন, তাহলে বিনা পারিশ্রমিকেও ফাঁসুড়ের কাজ করতে রাজি তিনি। নির্ভয়াকাণ্ডে দোষীদের ফাঁসি দিতে চেয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অমিত শাহকে রক্ত দিয়ে চিঠি লিখেছেন আন্তর্জাতিক শুটার বর্তিকা সিংও।