দুনিয়ার সামনে অবরুদ্ধ ভূস্বর্গের ছবি, পুলিৎজার জিতলেন ৩ কাশ্মীরি চিত্রসাংবাদিক

Published : May 05, 2020, 02:11 PM ISTUpdated : May 05, 2020, 02:18 PM IST
দুনিয়ার সামনে অবরুদ্ধ ভূস্বর্গের ছবি, পুলিৎজার জিতলেন ৩ কাশ্মীরি চিত্রসাংবাদিক

সংক্ষিপ্ত

সাংবাদিকতার সর্বোচ্চ সম্মান পুলিৎজার পুরস্কার এবার সেই পুরস্কার জিতলেন ৩ কাশ্মীরি সাংবাদিক গত অগস্ট থেকে লকডাউনে রয়েছে কাশ্মীর অবরুদ্ধ কাশ্মীরের সেই ছবি তুলে ধরেন তিন জনেই

করোনাভাইরাসের মোকাবিলায় এদেশে ২৪ মার্চ রাত ১২টা লকডাউনের ঘোষণা করে ভারত সরকার। প্রথম দুই পর্যায়ের লকডাউন পেরিয়ে গত সোমবার তৃতীয় পর্যায়ে প্রবেশ করেছে দেশ। বন্ধ রয়েছে দেশের নানা প্রান্তের স্কুল-কলেজ, অফিস-কাছারি, কল-কারখানা। বিন্ধ সিনেমাহল, শপিংমল, খেলধুলো সবকিছুই। সামাজিক দূরত্বের বিধি মানতে গিয়ে বাড়িতে থেকে হাঁসফাস অবস্থা আমজনতার। কিন্তু কাশ্মীরবাসী অবরুদ্ধ হয়ে রয়েছেন সেই গতবছরের অগস্ট মাস থেকে। ২০১৯ সালের অগস্টে কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা তুলে নেওয়ার পর লকডাউন জারি করেছিল ভারত সরকার। টানা কারফিউ, মোবাইল ও ইন্টারনেট সেবা বন্ধ থাকায় সেখানকার শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি বিশ্বের সামনে তুলে ধরা ছিল কঠিন। কিন্তু কাশ্মীরে কী হচ্ছে, বিশ্বের সামনে তা তুলে ধরেছিলেন  তিন ভূমিপুত্র দার ইয়াসিন, মুখতার খান ও ছান্নি আনন্দ। আর হাতে প্রাণ নিয়ে করা সেই কাজের এবার স্বীকৃতি পেলেন তিন চিত্রসাংবাদিক। সাংবাদিকতার সবচেয়ে সম্মানজনক পুরস্কার পুলিৎজার জিতলেন তাঁরা।

প্রত্যেক বছর নিউইয়র্কের কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত অনুষ্ঠানে পুলিৎজার দেওয়া হয়। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে সোমবার ভার্চুয়ালি পুরস্কার জয়ীদের নাম ঘোষণা করা হলো। পুলিৎজার বোর্ডের প্রধান ডানা ক্যানেডি তার বাড়ি থেকে ইউটিউব লাইভস্ট্রিমে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করেন। ‘অস্থির জীবনের আকর্ষণীয়’ ছবি তোলায়   তিন কাশ্মীরি সাংবাদিককে পুরস্কার দেওয়ার বিষয়ে মনোনীত করার কথা জানান তিনি।

আরও পড়ুন: করোনার দাপটে বিধ্বস্ত ভারতীয় অর্থনীতি, রঘুরাম রাজনের পর অভিজিতের কাছে দাওয়াই চাইলেন রাহুল

ইয়াসিন, আনন্দ ও মুক্তার পুলিৎজার জিতেছেন ফিচার ফটোগ্রাফি শাখায়। কখনো ছবি তোলার নেশায় রোডব্লক টপকেছেন, আবার কখনও ছবি তুলতে অপরিচিত কারো বাড়িতে ঢুকে পড়েছেন। সবজির ব্যাগে ক্যামেরা লুকিয়ে বিক্ষোভ, পুলিশ ও আধাসামরিক বাহিনীর অভিযান এবং প্রাত্যহিক জীবনের ছবি তুলেছেন তিনজন। এখানেই অবশ্য থেমে থাকেনি ৩ জনের কাজ, ছবি তুলে তাঁরা গিয়েছেন বিমানবন্দরে, সেখানে যাত্রীদের বুঝিয়ে সেটই ফটো ফাইলগুলো পাঠিয়েছেন রাজধানীতে নিজেদের সাংবাদমাধ্যমের কার্যালয়ে। এভাবেই প্রতিদিন মৃত্যুর সঙ্গে লুকোচুরি শেষে লেন্সে ধরা পড়েছে না দেখা কাশ্মীরের ছবি।

আরও পড়ুন: সেনায় যোগ দেওয়াই ছিল জীবনের লক্ষ্য, ১২ বার ব্যর্থ হওয়ার পর হয়েছিল কর্নেল আশুতোষের স্বপ্নপূরণ

ইয়াসিন ও মুক্তার শ্রীনগরের বাসিন্দা, আর আনন্দ জম্মুর। পুরস্কার জিতে আনন্দ বলেন , ‘আমি হতভম্ব, বিশ্বাসই হচ্ছে না।’ অন্যদিকে ই-মেইল বার্তায় ইয়াসিন বলেছেন, ‘সবসময় এটা ছিল ইদুর-বিড়াল খেলা। এসব আমাদের আরো বেশি দৃঢ় করেছে, বুঝিয়েছে কখনো চুপ করে থাকা যাবে না।’ সংবাদ মাধ্যম অ্যাসোসিয়েটেজ প্রেসের হয়ে করেন তিন জনই। এপির প্রেসিডেন্ট ও প্রধান নির্বাহী গ্যারি প্রুইট বলেছেন, 'তিন জনেরই  কাজ ছিল গুরুত্বপূর্ণ এবং দুর্দান্ত’। তিনি যোগ করেছেন, ‘কাশ্মিরের ভেতরে থাকা আমাদের কর্মীদের ধন্যবাদ জানাই, যাঁরা বিতর্কিত হিমালয় অঞ্চলের জীবনযাপনের অনন্য সব দলিল লেন্সবন্দি করেছেন।’

PREV
click me!

Recommended Stories

Vande Mataram: জানেন বন্দে মাতরমের কোন একটি শব্দ, যা নিয়ে স্বাধীনতার এত বছর পরেও শেষ হয়নি বিতর্ক!
প্রধানমন্ত্রী মোদীর প্রথম জর্ডান সফর 'ঐতিহাসিক', বললেন ভারতীয় দূত