করোনা ভাইরাস। নামটা শুনলেই প্রত্যেকেই যেন আতঙ্কিত। করোনা আতঙ্কে ইতিমধ্যেই ভয়ে কাঁপছে চিন। মুহূর্তের মধ্যে একজনের থেকে আরেকজনের শরীরে ছড়িয়ে পড়ছে এই ভাইরাস। মানুষের নিঃশ্বাস প্রশ্বাসের সঙ্গেই ছড়িয়ে যাচ্ছে এই রোগের জীবানু। কিন্তু এই করোনা ভাইরাস আসলে কী। আতঙ্কের আর এক নাম করোনা ভাইরাস। করোনা ভাইরাসের বাহক হল মানুষ। মানুষের সংস্পর্শেই সংক্রমিত হচ্ছে এই করোনা ভাইরাস । দীর্ঘ পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর যা নিশ্চিত করলেন চিনের চিকিৎসকরা।
আরও পড়ুন-মারুতি সুজুকি অল্টো বি এস ৬ সিএনজি মডেল এল ভারতে...
ইতিমধ্যেই করোনা নিয়ে চিনে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এর মধ্যেই প্রাণ হারিয়েছে ১০৬ জন মানুষ। এরই মধ্যে গতকালই চিন থেকে ভারতে ফেরা তিনজন ভারতীয়কে দিল্লির রাম মনোহর লোহিয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনজনেই সর্দিকাশি জনিত সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে আসে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের সুপারিন্টেনডেন্টে মীনাক্ষি ভরদ্বাজ। যেহেতু সর্দি-কাশির উপসর্গগুলি করেনা ভাইরাসের সঙ্গে মেল তাই তাদেরকে স্পেশাল কেয়ারে রাখা হয়েছে। তাদের রক্তের নমূনাও পাঠানো হয়েছে ন্যাশনাল সেন্টার ফর ডিজিস কন্ট্রোল ফর টেস্টিং-এ।
আরও পড়ুন-মাত্র ৯ টাকায় মিলবে এলআইসি-র আকর্ষণীয় পলিসি, সুযোগ হাতছাড়া করলেই মিস...
নিঃশব্দেই শরীরে দানা বাঁধছে এই মারণ রোগ। করোনা ভাইরাস যখন ধরা পড়বে তখন মৃত্যুর দোরগোড়ায় পৌঁছে যাবেন আপনি। ভয়াবহ এই মারণ রোগ আটকাতে ইতিমধ্যেই তৎপর সমস্ত দেশ। করোনা ভাইরাস যাতে ছড়িয়ে পড়তে না পারে তা নিশ্চিত করতে ইউহান সহ ১৩ টি শহরকে বাকি দেশের থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সংক্রমণ না থাকলেও চিন ফেরত ব্যক্তিরাও আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। জার্মানিও নিজেদের নাগরিকদের চিন সফরে যেতে বারণ করে দিয়েছে। এছাড়াও শ্রীলঙ্কাতেও বছর ৪০-এর এক মহিলার থেকে করোনা ভাইরাস পাওয়া গেছে। গত সপ্তাহেই চিনের হুবেই থেকে তিনি শ্রীলঙ্কা এসেছিলেন। যত দিন যাচ্ছে ততই যেন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে ভাইরাসে আক্রান্ত এবং মৃতের সংখ্যা।