আড়ালে তৈরি খসড়া, ফের হতে পারে বিমুদ্রাকরণের মতো বড় ঘোষণা, নোটের পর মোদীর নিশানায় কে

Published : Nov 08, 2019, 10:38 AM IST
আড়ালে তৈরি খসড়া, ফের হতে পারে বিমুদ্রাকরণের মতো বড় ঘোষণা, নোটের পর মোদীর নিশানায় কে

সংক্ষিপ্ত

তিন বছর আগে এই দিনে হয়েছিল নোট বাতিলের ঘোষণা। মূল লক্ষ্য ছিল কালো টাকা উদ্ধার। তারপর থেকে এই সিদ্ধান্ত নিয়ে দেশে-বিদেশে বহু চর্চা হয়েছে। এইবার ফের এইরকম একটি সাহসী ও ঐতিহাসিক ঘোষণা হতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে।  

তিন বছর আগে অর্থাৎ ২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী রাত ৮ টা নাগাদ এক ঘোষণায় জানিয়েছিলেন মধ্যরাত থেকে ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট বাতিল হয়ে যাচ্ছে। ভারতের ইতিহাসে এই প্রথমবার নোটবন্দীর সিদ্ধান্ত নিয়ে এতটা গোপনীয়তা বজায় রাখা হয়েছিল। এই সিদ্ধান্তের পিছনে দেশে কালো ধন ফেরত আনা, সন্ত্রাসবাদে তহবিল জোগান বন্ধ, জাল নোটের কারবার বন্ধের মতো বেশ কিছু কারণ দেখানো হয়েছিল। তারপর থেকে প্রধানমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্ত নিয়ে দেশে-বিদেশে বহু চর্চা হয়েছে। তবে তাঁর দ্বিতীয় মেয়াদেও কিন্তু প্রধানমন্ত্রী মোদী বিমুদ্রাকরণের মতো সাহসী ও ঐতিহাসিক ঘোষণা করতে পারেন।

ফের নিতে পারেন সাহসী ও ঐতিহাসিক পদক্ষেপ

জানা যাচ্ছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁর দ্বিতীয় মেয়াদে ফের নোটবন্দির মতো বড় পদক্ষেপ নিতে পারেন। ফের মোদী সরকারের নিশানায় কালো টাকা। বিমুদ্রাকরণের পর থেকে কালো ধনের কারবারিরা বিপথে ব্যাপক হারে সোনায় বিনিয়োগ করেছে। এর ফলে এইবার মোদী সরকার কালো ধনের বিনিময়ে কেনা সেই সোনা তাদের ঘর থেকে বের করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। সরকার মহলে কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে কালো ধনের বিনিময়ে যারা সোনা কিনে রেখেছে, তাদের শায়েস্তা করতে মোদী সরকার একটি বিশেষ প্রকল্প আনতে পারে।

অ্যামনেস্টি স্কিম কার্যকর হওয়ার সম্ভাবনা

এদনই এই প্রকল্পের কথা ঘোষণা করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সূত্রের খবর, আয়করের ক্ষেত্রে যেইরকম অ্যামনেস্টি স্কিম রয়েছে, তার আদলেই মোদী সরকার এই অ্যামনেস্টি স্কিম রূপায়িত করতে পারে। সেই ক্ষেত্রে সরকার নির্ধারিত পরিমাণের চেয়ে কারোর কাছে বেশি সোনা থাকলে তা সরকারকে জানাতে হবে। কত টাকা মূল্যের সোনা আছে তা ওই ব্যক্তিকে প্রকাশ করতে হবে।

নিতে হবে শংসাপত্র

যিনি সোনা কিনেছেন তাঁকে অ্যামনেস্টি স্কিমের আওতায় সোনার মূল্য নির্ধারণের জন্য মূল্যায়ন বিভাগের কাছ থেকে সার্টিফিকেট বা শংসাপত্র গ্রহণ করতে হবে। এই প্রকল্পটি একটি নির্দিষ্ট সময়সীমার জন্য খোলা হবে। সেই সময়সীমা অতিক্রম করার পর যদি কারোর কাছে নির্ধারিত পরিমাণের চেয়ে বেশি পরিমাণ সোনা পাওয়া যায়, তাহলে তাকে মোটা জরিমানা দিতে হবে। জানা গিয়েছে, অর্থ মন্ত্রকের ইকোনমিক অ্যাফেয়ার্স বিভাগ এবং রাজস্ব বিভাগ যৌথ উদ্যোগে এই প্রকল্পের খসড়া তৈরি করেছে। আপাতত অর্থ মন্ত্রক এই খসড়া প্রস্তাব মন্ত্রিসভায় পাঠিয়েছে অনুমোদনের জন্য।

 

PREV
click me!

Recommended Stories

LIVE NEWS UPDATE: বঙ্গে পারদ পতন অব্যাহত, কনকন ঠান্ডার সঙ্গে কুয়াশার দাপট
ভারতের উপর ট্রাম্পের ৫০% শুল্ক প্রত্যাহার? মার্কিন কংগ্রেসে প্রস্তাব পেশ তিন সদস্যের