সংসদের নিরাপত্তা ইস্যুতে অমিত শাহের বিবৃতি দাবি, অধীর, কল্যাণ-সহ সাসপেন্ড ৩০ সাংসদ
সংসদের নিরাপত্তা লঙ্ঘন এখন বিরোধীদের কাছে একটি বড় ইস্যু। বিরোধীরা সোমবারও নিজেদের দাবিতে অনড়। এদিনও তাঁরা সংসদের নিরাপত্তা নিয়ে অমিত শাহের বিবৃতির দাবিতে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। তাতেই অধীর চৌধুরী, গৌরব গগৈ-সহ একসঙ্গে ৩০ জনকে সাসপেন্ড করা হয়েছে সংসদের শীতকালীন অধিবেশনের বাকি সময়টার জন্য। গত সপ্তাহেই সংসদের নিরাপত্তা লঙ্ঘন ইস্যুতে তুমুল হইহট্টোগোলের কারণে একসঙঅগে ১৩ জন লোকসভার সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল। এছাড়াও বিশেষাধিকার কমিটির রিপোর্ট না আসা আসা পর্যন্ত আরও তিন জন সাংসদকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। সবমিলিয়ে শীতকালীন বাকি অধিবেশন পর্যন্ত বিরোধী পক্ষের ৪৬ জন সাংসদরে বরখাস্ত করা হয়েছে।
এদিন সাসপেন্ড হওয়া সাংসদদের মধ্যে রয়েছে কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী, গৌরব গগৈ। তৃণমূল কংগ্রেসের কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, কাকলি ঘোষ দস্তিদার, সৌগত রায় ও শতাব্দী রায়। ডিএমকে-র দয়ানিধি মারানের মত গুরুত্বপূর্ণ সাংসদরা।
এদিন সাসপেন্ড হওয়ার পরই কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী বলেছেন, সরকার স্বৈরাচারী আচরণ করেছে। সাংসদকে বিজেপির সদর দফতরে পরিণত করেছে। অধিবেশন শুরু হওয়ার পর থেকে বিরোধীরা সরকারপক্ষকে সহযোগিতা করেছে। কিন্তু তার প্রতিবাদনে বিজেপি সরকার বিরোধীদের সঙ্গে বিমাতা সুলভ আচরণ করছে। তিনি আরও বলেন, এই সরকার স্বৈচারের শিখরে পৌঁছে গিয়েছে। বিজেপির সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে। তার ওপর ভর করে তারা সংসদে লাঠি ঘোরাচ্ছে।
কংগ্রেসের অপর সাংসদ গৌরব গগৈ বলেন, বিজেপি সরকার বিরোধীদের বুলডোজ করতেছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ব্যপক নিরাপত্তা লঙ্ঘনের দায় নিয়ে ভয় পাচ্ছে। লোকসভা থেকে তাতে সাসপেন্ড করা হলেও তারা সংসদের বাইরে বিক্ষোভ চালিয়ে যাবেন ।
অন্যদিকে লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা বলেন, হাউসের ভিতরে নিরাপত্তা সচিবালয়ের আওতাধীন ও এটিকে কাউকে হস্তক্ষেপ করতে দেওয়া হবে না। তিনি আরও বলেন, 'সরকার লোকসভা সচিবালয়ের দায়িত্বে হস্তক্ষেপ করতে পারে না। আমরা তাও হতে দেব না।' তাই এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিবৃতি প্রয়োজনীয় নয়।
আরও পড়ুনঃ
Delhi Metro: দিল্লি মেট্রোতে ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা, রেকের দরজায় মহিলার শাড়ি জড়িয়ে মর্মান্তিক মৃত্যু
Ayodhya Mosque: কী অবস্থা অযোধ্যা মসজিদের? আর্থিক সমস্যার কারণেই বিলম্ব নির্মাণকাজ শুরুর