নব প্রযুক্তির এই অ্যালগরিদমগুলি ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি, মাদ্রাজ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক নর্থওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটির গবেষকরা তৈরি করেছেন বলে জানা যাচ্ছে। এমনকি এই এফেক্ট কাজে এলে আগামীতে ফোনে তোলা সমস্ত ভিডিওতেই থ্রিডি এফেক্ট আনা সম্ভব হবে।
তথ্য-প্রযুক্তির ক্ষেত্রে অভাবনীয় উদ্ভাবন সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে নিত্যনতুন আবিষ্কারের নিরিখে বরাবরই এগিয়ে থেকেছে মাদ্রাজ আইআইটি(IIT Madras)। এমতাবস্থায় একটি মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে তারা করে ফেলেছে আরও একটি অনবদ্য উদ্ভাবনা। আইআইটি মাদ্রাজ ও ইউএস ইউনিভার্সিটির যৌথ উদ্যোগে তৈরি হয়েছে একটি নতুন AI বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা চালিত অ্যালগরিদম। যা সাধারণ স্মার্টফোনে থ্রিডি এফেক্ট আনতে সক্ষম বলে জানা যাচ্ছে। এই উদ্ভাবনার সফল বাস্তবায়ন হলে আগামীতে আর থ্রিডি সিনেমা দেখতে যাওয়ার জন্য থ্রিডি প্রেক্ষাগৃহের মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে হবে না। কারণ এরপর থেকে সমস্ত ভিডিও, সিনেমা যা মোবাইলে দেখতে পাওয়া যাবে তাতে থাকবে থ্রিডি এফেক্ট।
নব প্রযুক্তির এই অ্যালগরিদমগুলি ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (IIT), মাদ্রাজ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক নর্থওয়েস্টার্ন ইউনিভার্সিটির গবেষকরা তৈরি করেছেন বলে জানা যাচ্ছে। এমনকি এই এফেক্ট কাজে এলে আগামীতে ফোনে তোলা সমস্ত ভিডিওতেই থ্রিডি এফেক্ট আনা সম্ভব হবে। গবেষকদের দাবি, এই ধরনের অ্যালগরিদম মোবাইল ফোনের ছবিকে 'ফ্ল্যাট' হতে বাধা দেয় এবং একটি বাস্তবোচিত 3D এফেক্ট নিয়ে আসে মোবাইল স্ক্রিনে। সহজ কথায় বললে এই সম্ভাবনার সফল বাস্তবায়ন হলে স্মার্টফোনের ইতিহাসে তা যে এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ হবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। নয়া গবেষণাটি 'প্রসিডিংস অফ দ্য ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন কম্পিউটার ভিশন, ২০২১'-এ প্রকাশিত হয়েছে। প্রকাশিত হওয়ার পর থেকেই তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে চলছে জোরদার চর্চা।
আরও পড়ুন- ফের উত্তপ্ত জগদ্দল, সাংসদের বাড়ির পাশেই ফের বোমাবাজির অভিযোগ
আরও পড়ুন-বড় সাফল্যের মুখ দেখছে কাশ্মীর ফাইলস, শীঘ্রই বিবেকের নতুন ছবিতে দেখা যেতে পারে কঙ্গনাকে
গবেষণা প্রসঙ্গে আইআইটি মাদ্রাজের ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কৌশিক মিত্র বলেন, “এটি একটি সাধারণ অভিযোগ, বিশেষ করে অপেশাদার এবং পেশাদার ফটোগ্রাফারদের বলে থাকেন যে, স্মার্টফোন ক্যামেরা ব্যবহার করে তোলা ফটোগ্রাফ এবং ভিডিওগুলি একটি সমতল, দ্বি-মাত্রিক চেহারার হয়ে থাকে৷ ফ্ল্যাট লুক ছাড়াও আরও কিছু সমস্যা রয়েছে। অন্যদিকে বোকে এফেক্টের মতো কিছু 3D বৈশিষ্ট্য ডিএসএলআর ক্যামেরায় পাওয়া গেলোও স্মার্টফোনে খুব একটা পাওয়া যায়না। পাওয়া গেলও তা খুবই নিম্নমানের। নান্দনিক ভাবে ব্যাকগ্রাউন্ড ঝাপসা করা স্মার্টফোন ক্যামেরায় চ্যালেঞ্জিং একথা মানেন সকলেই। যদিও এখন কিছু মিড এবং হাই-এন্ড স্মার্টফোন ক্যামেরায় বর্তামেন খানিকটা হলেও এই ধরণের প্রভাব দেখতে পাওয়া যায়। কিন্তু নতুন এই টেকনোলজির সফল বাস্তবায়ন হলে পুরো দিগন্তই বদলে যাবে।”
আরও পড়ুন- স্কুল দেওয়া হবে গীতার পাঠ, দেশজোড়া বিতর্কের মধ্যে কী বলছে বিরোধীরা