নির্ভয়াকাণ্ডে নাটকীয় মোড়। আইনি জটে আটকে গেল ধর্ষকদের ফাঁসি। আগামী ২২ জানুয়ারি তিহার জেলে চার আসামীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হচ্ছে না। দিল্লি হাইকোর্টে একথা জানালেন খোদ সরকারি আইনজীবীই। শুধু তাই নয়, নির্ভয়াকাণ্ডে চার ধর্ষকের ফাঁসিতে আরও বিলম্ব হতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে।
দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর চূড়ান্ত হয় নির্ভয়াকাণ্ডে দোষীদের ফাঁসির দিন। গত ৭ জানুয়ারি চার ধর্ষকের বিরুদ্ধে মৃত্যু পরোয়ানা জারি করে দিল্লি-র পাতিয়ালা হাউস কোর্ট। জানানো হয়, আগামী ২২ জানুয়ারি তিহার জেলে চারজনের এক সঙ্গে ফাঁসি হবে। এরপর সুপ্রিম কোর্টে কিউরেটিভ পিটিশন বা প্রাণভিক্ষার আবেদন জানায় দুই আসামী বিনয় শর্মা ও মুকেশ সিং। কিন্তু মঙ্গলবার সে আবেদন পত্রপাঠ খারিজ করে দেয় শীর্ষ আদালতের পাঁচ সদস্যের ডিভিশন বেঞ্চ। সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, নির্ভয়াকাণ্ডে দোষীদের মৃত্যুদণ্ডই বহাল থাকছে। ফলে ধর্ষকদের বাঁচার আর কোনও রাস্তা ছিল না।
নির্ভয়া মামলায় নাটকীয় পট পরিবর্তন হল বুধবার। দিল্লির হাইকোর্টে নির্ধারিত দিনে ফাঁসির আদেশ কার্যকর না করার কথা জানালেন খোদ সরকারি আইনজীবী। কিন্ত কেন? সরকারি আইনজীবীর বক্তব্য, দোষীদের মধ্যে একজন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ-এর কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন জানিয়েছে। তার আবেদন নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। রাষ্ট্রপতি যদি প্রাণভিক্ষার আবেদন খারিজও করে দেন, সেক্ষেত্রেও সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মোতাবেক মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার জন্য ১৪ দিন আগে নোটিশ দিতে হবে সরকারকে। এই পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রপতির সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করাই শুধু নয়, নির্ধারিত দিনে অর্থাৎ ২২ জানুয়ারি নির্ভয়ার ধর্ষকদের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ কার্যকর করা যাবে না। সেক্ষেত্রেও মৃত্য়দণ্ড কার্যকর করার ক্ষেত্রে আরও বিলম্বের আশঙ্কাও উড়িয়ে দিচ্ছে না ওয়াকিবহাল মহল।