কিউরেটিভ পিটিশন খারিজ হয়ে গিয়েছে আদালতে, এবার ফাঁসির অপেক্ষায় দিন গোনা। ২২ জানুয়ারি ফাঁসির আগে এখন নির্ভয়া ধর্ষণকাণ্ডে মৃত্য়ুদণ্ডপ্রাপ্ত চার অপরাধীকে তাদের পরিজনদের সঙ্গে নিয়মিত দেখা করতে দিচ্ছে তিহার জেল কর্তৃপক্ষ। এদিকে মিরাট থেকে আসছেন ফাঁসুড়ে। ফাঁসি পিছু সেই ফাঁসুড়ে নেবেন ১৫হাজার টাকা করে।
মঙ্গলবার চার অপরাধীর অন্য়তম বিজয় শর্মা তার বাবার সঙ্গে দেখা করে। জেলের নিয়ম না-মানায় সবচেয়ে বেশি শাস্তি পেয়েছে সে। আর এক অপরাধী মুকেশের মা প্রায়ই দেখা করতে আসছেন। দু-দিন আগে তিনি তিহারে এসেছিলেন ছেলেকে দেখতে। অন্য়দিকে পবন গুপ্তের পরিবারও তার সঙ্গে জেলে দেখা করতে আসছে।
যদিও অক্ষয় কুমার সিংয়ের স্ত্রী সেই শেষ দেখা করতে এসেছিলেন নভেম্বরে। যখন মৃত্য়ুদণ্ড কার্যত চূড়ান্ত হয়েছিল। তারপর থেকে পরিবারের কেউই আর দেখা করতে আসেনি ওর সঙ্গে। যদিও জেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, অক্ষয় ফোনে নিয়মিত ওর স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে।
জেল সূত্রে খবর, ওই চার অপরাধীর কাছ জানতে চাওয়া হয়েছে, ফাঁসির আগে শেষবারের মতো কখন তারা দেখা করতে চায় বাড়ির লোকেদের সঙ্গে। যদিও এখনও পর্যন্ত তার উত্তরে নির্দিষ্ট করে কেউ কিছু জানায়নি। সেক্ষেত্রে অবশ্য় জেল কর্তৃপক্ষই ঠিক করবে কখন শেষবারের মতো তাদের পরিজনদের সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হবে। তবে তা সম্ভবত ২০ জানুয়ারিতে হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
ইতিমধ্য়ে জেলসূত্রে জানা গিয়েছে, ২২ তারিখ সকালে ওই চার অপরাধীকে ফাঁসি দিতে মিরাট থেকে আসছেন ফাঁসুড়ে। প্রতিটি ফাঁসির জন্য় ১৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে তাঁকে।