প্রবল বৃষ্টিতে কার্যত বিপর্যত হিমাচল প্রদেশ। সেখানকার একাধিক এলাকা বন্যা বিধ্বস্ত। হিমাচল প্রদেশের পালামপুর-এর কাছে বন্যার কবল থেকে ছয় জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে বলে খবর। সেই সঙ্গে কাংরা এবং চাম্বায় ভূমিধসের কারণে রাস্তাঘাট অবরুদ্ধ ছিল বলেও জানা গিয়েছে।
কাংরা ডেপুটি কমিশনার তথা জেলা শাসক রাকেশ কুমার প্রজাপতি জানিয়েছেন, শুক্রবার রাত থেকেই শুরু হয়েছে ভারী বৃষ্টিপাত, যার জের অব্যাহত রয়েছে শনিবার সকাল পর্যন্ত। এদিন তিনি ঘোষণা করেন, আবহাওয়ার এই পরিবর্তনের জেরে লাগাতার বৃষ্টির কারণে শনিবার সেখানকার সমস্ত স্কুল এবং অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছুটি ঘোষণা করে দেওয়া হয়।
এদিন আবহাওয়া দফতরের তরফে গোটা রাজ্যে কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছিল, সেইসঙ্গে শনি ও রবিবার রাজ্যের একাধিক এলাকায় লাল সতর্কতাও জারি করা হয়েছে বলে খবর। ভারী বৃষ্টিপাতের জেরে দারুগনোর কাছে একটি নির্মীয়মান ডিসপেন্সারির এবং একটি পঞ্চায়েতের দফতর ভেঙে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
শুধু তাই নয়, একটি সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, এদিন সকালে হিমাচল প্রদেশের মান্ডি জেলার চাচোট তেহসিল-এর গোহরা গ্রামে একটি মারাত্মক ভুমিধসের ঘটনা ঘটেছে। যদিও এই ভুমিধসের জেরে কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। সেইসঙ্গে প্রবল ভুমিধসের জেরে চাত্রু থেকে ধর্মশালা, চাম্বা থেকে পাঠানকোট এবং কিহার থেকে চাম্বা যাওয়ার সমস্ত পথ কার্যত অবরুদ্ধ ছিল বলে জানা গিয়েছে।