অন্তর্বাস খুলে দিতে হল প্রমাণ, মোদীর রাজ্যে কলেজেই চরম ধর্মীয় হেনস্থার মুখে ছাত্রীরা

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নিজের রাজ্য।

সেখানেই এক কলেজে চলল চরম ধর্মীয় হেনস্থা।

ছাত্রীদের খোলানো হল অন্তর্বাস।

এর পিছনে রয়েছে ধর্মীয় কারণ।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নিজের রাজ্য গুজরাত। যে রাজ্যের উন্নতি দেখিয়ে ২০১৪ সালের আগে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে নরেন্দ্র মোদীকে তুলে ধরেছিল তাঁর দল। সেই রাজ্যেরই এক কলেজে অন্তত ৬৮ জন স্নাতকস্তরের ছাত্রীকে অন্তর্বাস খুলে কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দিতে বাধ্য করার অভিযোগ উঠল। কারণ, তাদের প্রমাণ করতে হবে তাঁরা কেউ ঋতুমতী নন। তবে এই নিয়ে হইচই শুরু হতেই ওই কলেজের ডিন দাবি করেছেন কলেজ কর্তৃপক্ষ এই বিষয়ে জড়িত নয়।

অভিযোগের আঙুল উঠেছে ভুজের শ্রী সাহাজানন্দ বালিকা ইনস্টিটিউট-এর বিরুদ্ধে। ক্রান্তিগুরু শ্যামজী কৃষ্ণ ভার্মা কচ্ছ বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতায় তাকা এই কলেজ পরিচালনা করে স্বামীনারায়ণ মন্দিরের অনুগামীরা। এই সম্প্রদায়ের রীতি অনুসারে মন্দির এবং রান্নাঘর প্রাঙ্গনে ঋতুমতী মহিলাদের প্রবেশাধিকার নেই। এমনকী পিরিয়ডস হলে কলেজের হস্টেলের বাসিন্দাদের একে অপরের সঙ্গেও মিশতে দেওয়া হয় না।

Latest Videos

সম্প্রতি ছাত্রাবাসের প্রধান, কলেজের অধ্যক্ষর কাছে অভিযোগ করেন, বেশ কিছু মেয়েদের ঋতুস্রাবের সময় ধর্মীয় রীতিনীতি লঙ্ঘন করছে। এরপরই ক্লাস থেকে বের করে বাইরের লনে লাইন দিয়ে দাঁড় করান অধ্যক্ষ। সরাসরি প্রশ্ন করেন, কাদের পিরিয়ডস হয়েছে। দুইজন মেয়ে এগিয়ে এসে তাদের ঋতুস্রাবের কথা জানালেও বাকিরা ছাড় পায়নি। তাদের বাথরুমে নিয়ে গিয়ে মহিলা শিক্ষিকারা প্রত্যেকের অন্তর্বাস খুলিয়ে পরীক্ষা করেন, আর কেউ ঋতুমতী কিনা।

তবে এটি একটি মাত্র ঘটনা নয় বলেই অভিযোগ ছাত্রীদের। ঋতুস্রাব নিয়ে তচাঁদের নিয়মিত এই কলেজে হেনস্থা করা হয় বলে জানিয়েছেন তাঁরা। পিরিয়ডস-এর মতো স্বাভাবিক শারীরিক প্রক্রিয়ার জন্য তাঁদের শাস্তিও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। তবে বৃহস্পতিবার যা ঘটেছে, তা সব সীমা চাড়িয়ে গিয়েছে বলে মনে করছেন তাঁরা। এমনকী এই বিষয়ে কোনও আইনি ব্যবস্থা নিতে গেলে তাদের হস্টেল ছাড়তে হবে বলে হুমকি দিয়েছেন ট্রাস্টি বোর্ডজের এক সদস্য। সেইসঙ্গে এরকম কোনও ঘটনা ঘটেনি বলে একটি সাদা কাগজে লিখে, নিচে তাদের দিয়ে দোর করে সই-ও করিয়ে নেন।  

কিন্তু, এই নক্কারজনক ঘটনা চাপা থাকেনি। আর প্রকাশ্যে জানাজানি হতেই তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে এই কলেজ। বিষয়টি নিয়ে এখনও পুলিশে কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। তবে চাপের মুখে বিষয়টি তদন্তের জন্য কলেজের পক্ষ থেকে তড়িঘড়ি একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। শ্রী সহজানন্দ বালিকা ইনস্টিটিউট-এর ডিন দর্শনা ঢোলাকিয়া জানিয়েছেন, বিষয়টির সঙ্গে কলেজের বা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও যোগসূত্র নেই। এটি ছাত্রাবাসের বিষয়। তাঁর দাবি, যা কিছু ঘটেছে তা মেয়েদের অনুমতি নিয়েই ঘটেছে, কাউকে এর জন্য বাধ্য করা হয়নি। এরপরও অভিযোগ খতিয়ে দেখতে একটি তদন্তকারী দল গঠন হয়েছে।

 

Share this article
click me!

Latest Videos

'স্বাস্থ্য ব্যবস্থার দুর্নীতি ঢাকতে আমাদের সাসপেন্ড করা হয়েছে' কর্মবিরতির ঢাক দিয়ে বললেন চিকিৎসকরা
Sundarbans-এ ফের বাঘের ভয়াল থাবা! উদ্ধার করেও গেল না বাঁচানো, গোটা গ্রামে শোকের ছায়া
পড়ুয়াকে Bangladeshi বলে অপমান! স্কুলে ভর্তি হওয়ায় বাঁধা, তীব্র চাঞ্চল্য Nadia-র Kalyani-তে
Rashifal Today: শনিবার ১৮ই জানুয়ারি কেমন কাটবে আজকের এই দিন, জানুন আজকের রাশিফলে
'দায় এড়ানোর জন্য যা খুশি তা করতে পারেন না মুখ্যমন্ত্রী', ক্ষোভ উগরে দিলেন ডাক্তাররাই