কেন্দ্রীয় সরকার বৃহস্পতিবার দিল্লি AIIMSএ ব্যাকটেরিয়া রোগের সনাক্তকরণকে চিনা নিউমোনিয়ার ক্ষেত্রে সাম্প্রতিক বৃদ্ধির সঙ্গে যুক্ত করে একটি মিডিয়া প্রতিবেদনকে "বিভ্রান্তিকর এবং অজ্ঞাত" বলে খারিজ করেছে।
কেন্দ্রীয় সরকার বৃহস্পতিবার দিল্লি AIIMSএ ব্যাকটেরিয়া রোগের সনাক্তকরণকে চিনা নিউমোনিয়ার ক্ষেত্রে সাম্প্রতিক বৃদ্ধির সঙ্গে যুক্ত করে একটি মিডিয়া প্রতিবেদনকে "বিভ্রান্তিকর এবং অজ্ঞাত" বলে খারিজ করেছে। পাশাপাশি এজাতীয় বিভ্রান্তি ছড়াতেও নিষেধ করা হয়েছে। ভারত সরকার একটি বিবৃতি জারি করে বলেছে, 'একটি জাতীয় দৈনিকে সম্প্রতি দাবি করা হয়েছে দিল্লি AIIMS এ চিনা নিউমোনিয়ার মতই ব্যাকটেরিয়া সনাক্ত করা হয়েছে। সাত জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। এই প্রতিবেদনটি অসতর্ক ও বিভ্রান্তিকর তথ্য সরবরাহ করে।'
বিবৃতিতে স্পষ্ট করা হয়েছে যে সাত জন যারা নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত তাদের সঙ্গে চিনা নিউমোনিয়ার স কোনও যোগ নেই। আক্রান্তদের মধ্যে কয়েকজন শিশুও রয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের বিবৃতিতে বলা হয়েছে শিশুদের শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের সঙ্গে চিনা নিউমোনিয়ার কোনও যোগসূত্র নেই।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, 'এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর- সাত মাসের মধ্যে দিল্লি এইমএর এজাতীয় সাত জন রোগীরে সনাক্ত করা হয়েছে। তবে তাদের ক্ষেত্রে উদ্বেগের কোনও কারণ নেই।' বিজ্ঞপ্তিতে বসা হয়েছে এটি আরও যোগ করেছে যে জানুয়ারী ২০২৩ থেকে আজ পর্যন্ত, AIIMS-এর মাইক্রোবায়োলজি বিভাগে পরীক্ষা করা ৬১ টি নমুনায় কোনও মাইকোপ্লাজমা নিউমোনিয়া সনাক্ত করা যায়নি।মাইকোপ্লাজমা নিউমোনিয়া হল সম্প্রদায়-অর্জিত নিউমোনিয়ার সবচেয়ে সাধারণ ব্যাকটেরিয়া কারণ। এই ধরনের সমস্ত সংক্রমণের প্রায় ১৫-৩০ শতাংশের কারণ এটি। ভারতের কোনো অংশ থেকে এই ধরনের উত্থানের খবর পাওয়া যায়নি।
কেন্দ্র সরকার জানিয়েছে, স্বাস্থ্য মন্ত্রক নিয়মিত রাজ্যগুলির স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করছে। প্রতিদিনই পরিস্থিতির ওপর কঠোর নজর রাখা হচ্ছে। এক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সবরকম ব্।বস্থা নেওয়া হচ্ছে। আগামী দিনেও পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। তবে এখনও আশঙ্কার তেমন কোনও কারণ নেই।